দূর্গাপুরে বিজেপির রাঢ়বঙ্গ জোনের সাংগঠনিক বৈঠক, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ” যে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে লেখা, সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি আজ ২২ শে শ্রাবণের দিনে ফুটপাতে পড়ে। সত্যি বলতে কি একটা ভয়ংকর ঘটনা। এই বাংলাদেশকে আমরা চিনি না”। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বুধবার এইভাবেই নিন্দা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ৩১নং বিদ্যাসাগর এ্যাভিনিউতে বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের আটটি বিজেপির সাংগঠনিক জেলা বাঁকুড়া,বিষ্ণুপুর, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান সদর, বর্ধমান দুর্গাপুর, আসানসোল এবং পুরুলিয়ার কার্যকর্তাদের নিয়ে হয় রাঢ়বঙ্গ জোনের সাংগঠনিক বৈঠক।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সহ সম্পাদক সতীশ ধুন্ড, হুগলির প্রাক্তন সাংসদ তথা রাঢ়বঙ্গ জোনের ইনচার্জ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাঢ়বঙ্গ জোনের কনভেনার দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ও দেবতনু ভট্টাচার্য , শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি সহ অন্যান্যরা। এই বৈঠকে আটটি জেলার জেলা নেতৃত্বকে সাংগঠনিক ভাবে দলকে আরো মজবুত করার জন্য রাজ্য নেতারা দিক নির্দেশ করেন।
দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস ২২ শে শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য যারা এত কিছু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো তাদের থেকেও বড় কিছু ছিল। কিন্তু এমন একটা দিনে আজ তাদের রাস্তায় ফুটপাতে পড়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। কিন্তু সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাঙা মূর্তি রাস্তার মধ্যে পড়ে। এই বাংলাদেশকে আমরা চিনিনা। মোবাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খন্ড খন্ড চিত্র দেখে মনে হচ্ছে এটা কিসের আন্দোলন? কোটার আন্দোলন থেকে গত কয়েক দিনে কোথায় পৌঁছেছে? এই বাংলাদেশকে সত্যি বড় অচেনা লাগছে। শান্তি ফিরে আসুক সেটাই আমরা প্রার্থনা করছি।
একইসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, এটা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আভ্যত্বরীন বিষয়। আমাদের বলা ঠিক নয়। যা বলার, তা কেন্দ্রীয় সরকার বলবে। তবে এটা একটা সিরিয়াস ইস্যু। এর সঙ্গে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের সংযোজন, যারা সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করছিলেন, তারা এখন বুঝতে পারছেন আমাদের সরকার কি বিল এনেছিলো।