BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

নৃত্য প্রশিক্ষককে নিগ্রহ করার অভিযোগ এক অভিভাবকের উপর

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- কোনো কারণ ছাড়াই জনপ্রিয় এক নিত্য প্রশিক্ষকক এর  উপর চড়াও হলো ছাত্রীর পরিবার।এমনই এক ঘটনা সামনে এলো রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত সীমান্তপল্লী অঞ্চলে। জানা যায় সন্দীপ চক্রবর্তী  নামক এক ব্যক্তি সীমান্তপল্লী দুর্গা মন্দিরে নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেয়।তার কাছে শতাধিক ছাত্রী নৃত্য শেখে। তবে রবিবার নাচ চলাকালীন বাপ্পা নামক ওই  অভিভাবক সন্দীপ বাবুকে  মারধর করে বলে অভিযোগ করেন।এরপরেই সন্দীপ বাবুর সমর্থনে শতাধিক অভিভাবক ও ছাত্রীরা মিলে পুলিশের কাছে আসেন। সকল অভিভাবক মিলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবিতে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি চত্বর এর সামনে।তারা জানান অবিলম্বে বাপ্পা ও তার স্ত্রী পম্পা মুখার্জীকে গ্রেফতার করতে হবে।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ, পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয় সঠিক বিচারের।তারপরেই অভিভাবকরা শান্ত হন।



ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক সন্দীপ দত্ত চৌধুরী  অভিযোগে জানিয়েছেন আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি যখন রূপনারায়ণপুর সীমান্তপল্লী দুর্গা মন্দিরের কাছে নাচের ক্লাস করাচ্ছিলেন সেই সময় রূপনারায়ণপুর আমডাঙার বাসিন্দা বাপ্পা মুখার্জি ও তার স্ত্রী হঠাৎ তাকে আক্রমণ করেন এবং শারীরিক নিগ্রহ করেন। তাকে রক্ষা করার জন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে তাদেরও তারা মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ। এ সময় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান। এরপরই পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় এবং বহু অভিভাবক ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়েই রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে পৌঁছান সন্দীপবাবুকে সঙ্গে নিয়ে। নৃত্য শিক্ষকের নিরাপত্তা ও নিগ্রহকারীকে গ্রেফতারের দাবী জানাতে থাকেন তারা। খবর পেয়ে ফাঁড়িতে পৌঁছে যান সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি। হট্টগোল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হন রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা।

পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তার বাড়িতে যায় কিন্তু খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়। সন্দীপবাবু বলেন এই অঞ্চলে তার বহু শিক্ষার্থী আছে। অভিযুক্ত বাপ্পা বাবুর মেয়েও তার কাছে ছয় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। কিন্তু সোহিনীর জন্য তার নাচের নির্দিষ্ট পোশাক অভিভাবকেরা তৈরি করিয়ে দিচ্ছিলেন না বলে তিনি সোহিনীর অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন শুধুমাত্র সেই আক্রোশ থেকেই তার উপরে এত বড় আক্রমণ করা হলো বলে তিনি উল্লেখ করেন।তবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *