জেলাশাসকের নির্দেশ, আসানসোল গাড়ুই নদীর পরিস্থিতি দেখতে যৌথ পরিদর্শন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের নির্দেশে সোমবার আসানসোলের গাড়ুই নদীর পরিস্থিতি দেখতে যৌথ পরিদর্শন করা হলো। মুলতঃ আসানসোল শহরকে দুই ভাগে ভাগ করা এই গাড়ুই নদী বর্ষাকালে ভয়াবহ হয়ে উঠে। বেড়ে যাওয়া জলে নদীর আশপাশের এলাকা ও শহরের নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। এই নদীর জলে ২০২১ সালে রেলপার ও তার আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ বন্যা মানুষ ভুলে যায়নি। এই বছরের আগস্টের শুরুতে আবারও নদীর জল বেড়ে যায়। নদীর জলে তলিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপরই জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠে। জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের নির্দেশে এদিনে গাড়ুই নদী পরিদর্শন দলে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব, সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও জেলাশাসক ও মহকুমাশাসক কার্যালয়ের আধিকারিকরা।
যৌথদল প্রথমে আসানসোলের কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় সেতুর কাছে যায়। এখানেই একটি গাড়ি নদীর জলে ভেসে যায়। তাতে চালকের মৃত্যু হয়। এরপর তারা রেলপার কসাইমহল্লা এলাকায় যান। এরপর তারা অন্যান্য এলাকা পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শন নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলেন, এরকম ইন্সপেকশন বা পরিদর্শন ইতিমধ্যেই বহুবার হয়েছে। কিন্তু নদী সংস্কার বা পরিষ্কার করার জন্য কবে নেওয়া হবে দৃঢ় পদক্ষেপ? কারণ দখলের কারণে অনেক স্থানে নদীটি ড্রেনে পরিণত হয়েছে। আশপাশের অনেক কলকারখানা থেকে বর্জ পদার্থ সবই নদীতে ফেলা হয়। যে কারণে নদীর গতিপথ আটকেছে বা নদী ছোট হয়েছে এমনটা নয়, এলাকায় পরিবেশ দূষণও হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক এদিন বলেন, এবার কিছু একটা করা হবে। সেই রকমই পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো হচ্ছে।