একদিকে উদ্বোধনের উল্লাস, অন্যদিকে চাকরি না মেলায় জমি হারিয়ে একরাশ কাতর যন্ত্রণায় হাহাকার জমিহারা পরিবার
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, মেজিয়া, বাঁকুড়া :
জমি দিলে নির্মাণ হবে কারখানা, আর সেই কারখানায় নানান কর্মক্ষেত্রে প্রথম অগ্রাধিকার পাবে জমিদাতারা ।কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে মিলল কোথায়? শনিবার বিকেলে ঘটা করে উদ্বোধন করা হল মেজিয়ার কালিদাসপুর সংলগ্ন একটি ইথানল কারখানার। বছর চারেক আগে কারখানা নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করে বেসরকারি এক সংস্থা। অভিযোগ জমি হারাদের চাকরি নিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও হয় তারা। কিন্তু কারখানা উদ্বোধনের পরেও সেই প্রতিশ্রুতি আজ কোথাই? প্রশ্ন তুলছেন খোদ জমিদাতারা।
জমি হারাদের পক্ষ থেকে করুণাময় মাজির দাবি তিন বছর ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি, সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবে রূপ নেয়নি। ফলস্বরূপ নিজেদের কৃষি জমি হারিয়ে আজ অসহায় একাধিক পরিবার। অন্যদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে ডিরেক্টর বিশাল শর্মা অবশ্য দাবি করছেন জমি হারাদের চাকুরী না দিয়ে কারখানা চালু করবেন না তারা।
কারখানা কর্তৃপক্ষের এই দাবি যদি সত্যি তাহলে জমিদাতাদের চাকরি না দিয়ে উদ্বোধনে কেন এত হুড়োহুড়ি? উদ্বোধনের আগেই বা কেন জমিহারাদের চাকুরী নিয়োগের শ্বেতপত্র প্রকাশ করল না কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন জমিহারা দের।
প্রদীপের তল থাকে চিরকালই অন্ধকার, আর সেই অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থেকে শুধুমাত্র দূর থেকে নবনির্মিত এই কারখানার চিমনির ধোঁয়া দেখবে না তো জমিহারারা? নাকি সেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আশা নিয়ে শুধুমাত্র অপেক্ষা আর অপেক্ষা সেটা কিন্তু অবশ্য বলবে সময়ই।