DURGAPUR

জাল আগ্নেয়াস্ত্র লাইলেন্স চক্র চালানোর অভিযোগ, গ্রেফতার চার, উদ্ধার স্ট্যাম্প সহ একাধিক সামগ্রী

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দূর্গাপুরের কোকওভেন থানায় গত আগস্ট মাসে একটি অভি্যোগ দায়ের হয়েছিলো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোকওভেন থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে । সেই তদন্তেই পুলিশ সাফল্য পায় । মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। যারা এই জাল  লাইসেন্সের চক্র চালাতো। গ্রেফতারের পরে তাদের কাছ হতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৩৪টি স্ট্যাম্প ও  স্ট্যাম্প প্যাড পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া স্ট্যাম্পে কালি লেগে থাকায় প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এগুলি ব্যবহার করা হয়েছে।


এই চক্রের কাজ ছিল আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স দেওয়া টাকার নিয়ে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি( ইষ্ট) অভিষেক গুপ্তা। তিনি আরো বলেন, গোটা অভিযোগের তদন্ত এখনো চলছে। সবটা এখনো পরিস্কার নয়। আরো তদন্ত করে দেখা যাবে কি কি উপায়ে এরা এই ব্যবসা চালাতো। তবে মনে করা হচ্ছে এই চক্র জাল লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রও সরবরাহ করতো।
এই চক্রের সঙ্গে বিহারের গ্যাং যুক্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু আসানসোলে নয় এই চক্রের দুর্গাপুরের ঘাঁটি গেড়েছে।
ডিসিপি (ইষ্ট) বলেন, বিহারের বক্সার জেলার ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায় (মূল অভিযুক্ত) ও ভিকি যাদব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি র সাথে যুক্ত । এছাড়াও দুজন রয়েছে। তারা হলো আসানসোল দক্ষিণ থানার রাকেশ বার্নওয়াল ও কৈলাশ সোনার। এরা যোগাযোগ কারী হিসাবে কাজ করতো ।

ডিসিপি বলেন, তদন্তে করে দেখা হচ্ছে এরা আগ্নেয়াস্ত্র সহ জাল লাইসেন্স বিক্রি করতো, না কিম্বা চুরি করা আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স করে বিক্রি করতো। তিনি জানিয়েছেন, বিহারের ১৬ টি জেলা ও  বাংলার ৮টি জেলার জাল স্টাম্প রয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলাশাসকদের ও পুলিশ কমিশনারদের জানানো হয়েছে। চক্রের পর্দাফাঁস করে এই  গ্রেফতারিকে পুলিশের একটা বড় সাফল্য বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ আধিকারিক দাবি করেন। ধৃতদেরকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে, এই চক্রের যুক্ত বাকিদেরকে গ্রেফতার করতে জেরা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *