আসানসোল ও দূর্গাপুরে নিম্নচাপের প্রভাব, অঝোর বৃষ্টি, জলমগ্ন নিচু এলাকা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও দূর্গাপুর, চরণ মুখার্জী ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আবারও নিম্নচাপের প্রভাবে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে। বুধবার কোজাগরী লক্ষী পুজোর রাতে একটানা কয়েক ঘন্টা ধরে বৃষ্টি হয়েছে আসানসোল ও দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই শিল্পাঞ্চলের আকাশের মুখ ছিলো ভার। কালো মেঘের ঘনঘটায় বলতে গেলে এদিন তেমনভাবে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এদিন সকাল থেকে মাঝে মধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। কিন্তু সন্ধ্যে সাড়ে ছটার পর থেকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় আসানসোল শহর তথা গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে। তার সঙ্গে চলতে থাকে বিদ্যুতের ঝলকানি ও ঘনঘন বাজ পড়া। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় বেশ কিছু নিচু এলাকা। ব্যহত হয় স্বাভাবিক জনজীবন।
এদিকে, কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন দুর্গাপুরের বেশ কিছু এলাকা। দূর্গাপুর পুরনিগমের বেশকিছু ওয়ার্ডে গলির ভেতরে প্রবল জলস্রোত হয়ে যায়। সেই জলে ডুবে যায় চার চাকা গাড়ি। রাত থেকে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎসহ এই বৃষ্টি। দুর্গাপুর এনআইটি সংলগ্ন রাস্তায় প্রচুর জল জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। দুর্গাপুর ৫৪ ফুট তপোবন এলাকা সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে যায়। ছয়টির মতো চারচাকা গাড়ি সকাল আটটা পর্যন্ত এক বুক জলের তলায় ছিলো। স্থানীয় মানুষেরা এক বুক জলে হেঁটে পার হন এপার থেকে ওপার যেতে। জানা গেছে, এই বৃষ্টিতে বহু মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে খাবার ও জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়লেও বৃষ্টি থামার নাম ছিলোনা। দূর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা পার্ক। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিল পার্ক এলাকা ছিলো জলমগ্ন।
প্রসঙ্গতঃ, এবারে পঞ্জিকা মতে বুধবার রাত সাড়ে সাতটার পরে কোজাগরী লক্ষী পুজো শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত ছিলো পুজোর সময়। তাই অনেকেই যেমন বুধবার রাতে সেরেছেন, তেমন অনেকে আবার বৃহস্পতিবারও পুজো করেছেন। যে কারণে দুদিনই বৃষ্টির কারণে গৃহস্থদেরকে এই পুজোর আয়োজনে সমস্যায় পড়তে হয়।