চর্যাপদের লজ্জা এবার পঞ্চাশে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
চর্যাপদের লজ্জা এই সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নাট্য প্রযোজনা। সম্প্রতি
দেবীপক্ষের প্রথমায় ৩ রা অক্টোবর, আসানসোল চর্যাপদের তথ্যনাট্য “লজ্জা”র পঞ্চাশতম মঞ্চায়ন হলো, আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে।




সারা বাংলা জুড়ে এযাবৎ এই নাটকের ৫০ টি সফল অভিনয় সম্পন্ন করলো এই নাট্য।
তথ্যনাট্য ‘লজ্জা’ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে প্রথমবার, পরীক্ষামূলক ভাবে মঞ্চ আসে। দীর্ঘ আট বছরের গবেষণায় নির্মিত এই নাট্য নানান বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে রচিত ও নির্মিত।
পৃথিবী জুড়ে প্রতি কয়েক সেকেন্ড অন্তর, ঘটে চলা প্রতিটি ধর্ষণের বিরোধিতায় চর্যাপদের এই প্রযোজনা। তাদের বক্তব্য এই লজ্জা নারীর নয়, এই লজ্জা পুরুষের।
যখনই পৃথিবীর কোনও কোনায় একটি ধর্ষণের কালো ঘটনা ঘটে, লজ্জার সেই কালো রং এসে লাগুক প্রতিটি পুরুষের মুখে।
লজ্জিত হোক পুরুষ। তবেই হয়তো ঘরে-বাইরে মহিলারা বাঁচেন।

নাটক ও নির্দেশনা করেছেন রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী।
এই নাটক করতে গিয়ে যেমন নানান বিরূপ মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে নানা সময়ে, তেমনই অগুনতি দর্শকের ভালোবাসা ও আবেগ এই নাটকের সাথে যুক্ত হয়ে এই নাট্য প্রযোজনা, বহু দর্শকের আশীর্বাদ ধন্য হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য। যাদের ভালোবাসা ও উৎসাহে মফস্বল শহরের একটি প্রযোজনা সারা বাংলা জুড়ে সমাদৃত হতে পেরেছে, পেয়েছে নানান সম্মান, সেই সকল দর্শক বন্ধুদের প্রতি চর্যাপদ তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যাতে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে এক ঘন্টা পনেরো মিনিটের এই প্রযোজনা দেখতে দেখতে মানুষ বারবার আবেগে ভেসেছেন।
কোভিডের সময় থেকে এই প্রযোজনা বন্ধ থাকলেও আবার নবরূপে আসানসোল চর্যাপদের “লজ্জা” আসানসোলেরই বুকে মঞ্চস্থ হলো। নতুন তথ্য নতুন আঙ্গিকে সেজে উঠলো এই মঞ্চায়ন।
এই নাট্যের পঞ্চাশতম মঞ্চায়নে যারা কলাকুশলী ছিলেন তারা হলেন সায়ন্তী চট্টোপাধ্যায়, কৃতিদীপন দাশশর্মা, শুভদীপ চৌধুরী, রাজেশ পাত্র, পল্লব গোস্বামী, সন্তু ভট্টাচার্য, ঐশী কর, কোয়েনা চক্রবর্তী, অনুষ্কা দে, সঞ্জয় পাঠক, শুচিস্মিতা দাসগুপ্ত, প্রিয়াংশু বসু মজুমদার, পার্থ সারথী কর, ইন্দ্রদীপ কোনার ও রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী। তবে মোট সাঁইত্রিশ জন কলাকুশলী আজ পর্যন্ত এই নাট্যে নানান সময়ে যুক্ত ছিলেন।এই নাটকের আরও প্রচুর অভিনয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন উপস্থিত সকল দর্শকেরা।