আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ৮ মাস ধরে অকেজো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, আতঙ্কে রোগী থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন নেভানো বা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেছে। তাই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, এই মুহুর্তে আচমকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগলে, কি হবে? রোগী, তার পরিবারের সদস্য থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে সেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কি করে হবে? কারণ আগুন নেভানোর বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে এই মুহূর্তে তা তো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
প্রায় ৮ মাস হলো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। যা নিয়ে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলকাতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশনকে জানিয়েছে বলে সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। এও জানা গেছে, একাধিকবার ঐ কর্পোরেশনে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ঠিক করা হয়নি।
একই সঙ্গে জেলা হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, সুপার স্পেশালিটিতে থাকা বেশ কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইজার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ডেট এক্সপায়ারি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এর ফলে কোনভাবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগলে সেগুলিকেও কাজে লাগানো যাবে না।
এই ব্যাপারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ মহঃ ইউনুস খান বলেন, আমি নিজে ইতিমধ্যেই কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুজোর ছুটির পরে অফিস খুললেই আবারও কর্পোরেশনকে চিঠি লিখে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলবো। তিনি আরো বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দেখভালের দায়িত্ব পিডব্লিউডি বা রাজ্য পূর্ত দপ্তরের নয়। এই দায়িত্ব ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সব কিছুই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এই কর্পোরেশন করে থাকে।
প্রসঙ্গতঃ আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মুহুর্তে শয্যা সংখ্যা সাড়ে ৫০০ র মতো। কিন্তু সেখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর সঙ্গে আছে, আউটডোর ও বিভিন্ন বিভাগ। এই অবস্থায় আচমকা আগুন লাগলে রোগী থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলেরই চরম বিপদ হতে পারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতায় ইএসআই হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দ্রুততার সঙ্গে সেখানে থাকা ৮০ জন রোগীকে বার করা হয়। তার মধ্যে একজন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। কলকাতার এই ঘটনার পরে আরো উদ্বেগ বেড়েছে আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।