আসানসোলে শুরু তিনদিনের ” বাংলা মোদের গর্ব “
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের টিভি সেন্টারের পেছনে পোলো ময়দানে রবিবার থেকে শুরু হলো তিনদিনের ” বাংলা মোদের গর্ব ” । বাংলার সংস্কৃতি, হস্তশিল্প, সঙ্গীত এবং অন্যান্য ঐতিহ্য নিয়ে তিনদিনের “বাংলা মোদের গর্ব” উৎসব চলবে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। প্রদর্শনীও হবে এই উৎসবে।
রবিবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রথমে ফিতে কেটে ও মুল মঞ্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। এছাড়াও ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল , মহকুমাশাসক ( আসানসোল সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সমাপ্তি দত্ত (উপ তথ্য অধিকর্তা, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ), অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়( চেয়ারম্যান আসানসোল পুরনিগম), বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় ( কর্মাধক্ষ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া স্থায়ী সমিতি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ), গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় ( মেয়র পারিষদ, আসানসোল পুরনিগম) ব্যক্তিরা।
বাংলার সঙ্গীত জগৎকে সমৃদ্ধ করা রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, বাউল গান, কীর্তন, শ্যামাসঙ্গীত, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া সহ আরো অনেক ধরনের সঙ্গীত এই উৎসবে থাকছে। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পীদের সঙ্গে থাকছে স্থানীয় শিল্পী এবং লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীদের অনুষ্ঠান। প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। মেলায় থাকছে মোট ২১ টি স্টল। সেখানে জেলার হস্তশিল্পের পাশাপাশি থাকছে বাংলার প্রতিটি গ্রামেই বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের সম্ভার। যেমন শীতলপাটি, ঢাকাই জামদানি, মাটির পুতুল, কাঁথা স্টিচ, এবং আরো অনেক ধরনের হস্তশিল্প। বাংলার ঐতিহ্যকে বহন করে আসছে এই হস্তশিল্পগুলি। যা বাংলার ইতিহাস এবং সংস্কৃতির প্রতীক। পাঁচ হাজারের মতো দর্শক এদিনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।