ASANSOL

আসানসোলের সীতারামপুর স্টেশনে ৫০০ কোটিতে তৈরি হবে বাইপাস লাইন

দেরী আটকানো ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চালানো লক্ষ্য, পরিদর্শনে আসানসোলের ডিআরএম

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা ডিআরএম চেতনানন্দ সিং বুধবার সীতারামপুর রেল স্টেশনে প্রস্তাবিত বাইপাস লাইনের কাজ পরিদর্শন করেন। আসানসোল ডিভিশনের রেল আধিকারিকরাও তার সাথে ছিলেন।
এই বাইপাস লাইনটি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ডিভিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন সীতারামপুরে ট্রেন চলাচলে ঘন ঘন লেট বা দেরী এবং অপারেশনাল বা পরিচালনায় ব্যাঘাত কাটিয়ে উঠতে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বাইপাস লাইন ৫.৩২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। যা ক্রস-মুভমেন্ট সমস্যা কমাতে এবং ট্রেন পরিচালনাকে স্ট্রীমলাইন বা ঠিক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই লাইনে যাত্রী ও মালবাহী দুই ক্ষেত্রই উপকৃত হবে।


বর্তমানে, আসানসোল ডিভিশন দিয়ে যাওয়া গ্র্যান্ড কর্ড লাইনে ডাউন ট্রেন এবং মেন লাইনে আপ ট্রেনগুলির সংযোগস্থল হওয়ার কারণে সীতারামপুরে দেরী বা লেট হয়। যা নিয়মে পরিনত হয়েছে। যে কারণে সীতারামপুর সিগন্যালে ঘন ঘন ট্রেন থামানো হয়। এরজন্য রাজধানী এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস সহ বহু দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচীকে প্রভাবিত করে৷ নতুন এই বাইপাস লাইন, যা ইস্টার্ন বা পূর্ব আউটার কেবিন থেকে শুরু হয়ে, ঝাঁঝার দিকে লিঙ্ক কেবিনে শেষ হবে। ক্রস-মটো দূর করতে একটি ফ্লাইওভার ব্যবহার করে আপ মেইন লাইনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ট্রেন চলাচল করছে। এই বাইপাস লাইনের প্ল্যান বা নকশার উদ্দেশ্য হল অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করা।



এই বাইপাস লাইন প্রস্তাবিত ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোর কর্পোরেশন (ডিএফসিসি) লাইনের সাথে ওভারল্যাপিং এড়াতে সংশোধন করা হয়েছে। যাতে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ এবং অপারেশনাল ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা যায়। এই বাইপাসটি আলডিহি-রাধানগর সেকশন থেকে একটি পৃথক বাইপাস লাইনের সাথে সংযোগ করবে। যা দক্ষিণ পূর্ব রেলের উপর ও নিচের যাতায়াতকেও ঠিক করবে।  এই বাইপাস সীতারামপুরে ট্রেন পরিচালনাকে আরো ভালো করবে ও দেরী হওয়ায় সময় কমাবে। এই কাজে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করবে রেল।


ডিআরএম বলেন, সীতারামপুর স্টেশনে এই বাইপাস লাইন তৈরি করা হচ্ছে। যার জন্য ফ্লাইওভার ব্যবহার করা হবে।
পরে এদিন ডিআরএম আসানসোল-ঝাঁঝা সেকশনে ০৩৫৩৩ বর্ধমান-ঝাঁঝা মেমু বিশেষ ট্রেন পরিদর্শন করেন। তিনি যাত্রী পরিষেবার সমস্ত দিক উচ্চ মান পূরণ করছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য টিকিট পরীক্ষা ও শৌচাগার পরিচ্ছন্নতার দিকটিও দেখেন।  একইসাথে তিনি যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। তাদের প্রতিক্রিয়া এবং পরামর্শগুলি মনোযোগ সহকারে শুনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *