ASANSOL

আসানসোল পুরনিগমের একাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা উধাও, অভিযোগ দায়ের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : আসানসোল পুরনিগমের একাউন্ট থেকে উধাও ৪০ লক্ষ টাকা! সরকারি অফিসের একাউন্ট থেকে এই পরিমাণ টাকা উধাও হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরনিগমের আধিকারিকদের মধ্যেও শোরগোল পড়েছে  সরকারি ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা দেখতে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় পুরনিগমের অর্থ দফতরের আধিকারিক তথা ফিনান্স অফিসারকে (এফও) পুলিশের কাছে অভিযোগ করার নির্দেশ দেন। এরপরই  আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের আসানসোল সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, একটি এাকাউন্ট থেকে সরকারি তহবিলের ৪০ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে, পুলিশ মেয়রকে জানিয়েছে যে এই টাকা মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের ব্যাঙ্ক একাউন্টে গেছে।  পুলিশ সূত্রে খবর, এই টাকা তুলতে প্রথমে পুরনিগমের পক্ষ থেকে একটি ব্যাঙ্কের শাখায় একটি চেক দেওয়া হয়।  পরে সেই চেক বাতিল করা হয়। বাতিল চেক আসানসোল পুরনিগমে জমা করা হয়েছে।  পুরনিগমের আধিকারিক বুঝতে পারছেন না কিভাবে ঐ চেক বাতিল করার পরেও এই ৪০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে তোলা হল। মেয়র বলেন, একটা জালিয়াতি হয়েছে এটা অবশ্যই পরিষ্কার।

অন্যদিকে আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরবর বলেন, আসানসোল কুলটি বোরো অফিস থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ নিয়ে আমি আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে বারবার তুলেছি । ২০২১ সালের এই ঘটনা ।  কাউন্সিলরের অভিযোগ, কুলটি বোরো অফিসের অর্থ বিভাগের কর্মী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা জমা করেননি।  এই বিষয়ে, ৩ জানুয়ারী, ২০২১ তারিখে কুলটি থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তারপরে তিন বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে।  কিন্তু সেই টাকার কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। এখন আবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা বেরিয়ে গেল কিভাবে? আমরা চাই ঘটনা তদন্তে করে এর রহস্য বার করা হোক।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *