ASANSOL

প্রভাবশালী তত্ত্ব সিবিআইয়ের হাতিয়ার, জামিন নাকচ, দেহরক্ষীর সঙ্গী অনুব্রত মন্ডল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ এটা একটা টার্গেটেড তদন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং রাজনৈতিক মাইলেজ নিতে গরু পাচার মামলায় তদন্ত করা করা হচ্ছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে সিবিআই এই তদন্ত করছে। কোনো নির্বাচন এলেই সিবিআই এটা করে। এমনই সব যা রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে বাইরে বলা হচ্ছিলো, তা নিয়ে বুধবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ভরা এজলাসে সরাসরি সওয়াল করলেন গরু পাচার মামলা ধৃত বীরভূমের জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের অন্যতম আইনজীবী সন্দীপন গাঙ্গুলি। যা রীতিমতো এদিনের শুনানিতে তাৎপর্য পূর্ণ বলে সব মহল মনে করছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী কালিচরণ মিশ্র এর পাল্টা জবাব দিতে গেলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, রাজনীতির কথা এজলাসে না তোলাই ভালো।


এদিন সিবিআইয়ের তরফে নতুন করে অনুব্রত মন্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কোন আবেদন করেনি। যদিও অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা তার জামিনের আবেদন করেন। তার জামিনে পক্ষে যুক্তি ছিলো শারীরিক অবস্থা ও তদন্তের অগ্রগতি এবং গতিপ্রকৃতি। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের জামিনের বিরোধিতা অন্যতম হাতিয়ার ছিলো অনুব্রত মন্ডলের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি থেকে প্রভাবশালী তত্ত্ব। শেষ পর্যন্ত ঘন্টা খানেকের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত মন্ডলের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।

বিকেল চারটে নাগাদ পুলিশের একটি গাড়িতে করে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে অনুব্রতকে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গতঃ, এই গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে রয়েছে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।

Leave a Reply