রানীগঞ্জে গার্ড থাকার পরও চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিরাপত্তা রক্ষী রেখে গিয়েও আটকানো গেল না চুরির। বাড়িতে গার্ড আসার আগেই নাকি চোরের দল বাড়ির দরজার তালা ভেঙে , সমস্ত বাড়ি লণ্ডভণ্ড করে,বাড়ির মধ্যে থাকা মূল্যবান সোনার গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দিল। শনিবার রাত্রে এই ঘটনাটি দেখে হতচকিত আসানসোল কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দন কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় জে কে নগর বাজারের এক ওষুধ দোকানের বিক্রেতা সরোজ কুমার দে, বসবাস করেন রানীগঞ্জের নন্দন কলোনী এলাকায়।
গত কয়েকদিন হল তারা সপরিবারে বাঁকুড়া জেলার, ইন্দাস থানার সমসার গ্রামে, তাদের পারিবারিক কালী পূজোয় যোগ দিতে গেছিলেন। তবে বাড়ি পাহারার জন্য রাতের দিকে নিরাপত্তা রক্ষির ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। তবে এরপরও শেষ রক্ষা হলো না। বাড়ির সদস্যরা শনিবার রাত্রেই খবর পেলেন বাড়ির দারোয়ান কাজের যোগ দেওয়ার জন্য এসে লক্ষ্য করেন, বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙ্গা, বাড়ির সব সামগ্রী লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে, বিষয়টি লক্ষ্য করে পাড়া-প্রতিবেশীরাও হাজির হয়ে তাদের এই ঘটনার কথা জানান খবর দেওয়া হয় রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি পুলিশকে, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
বাড়ির সদস্যদের দাবি বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী যে মোতায়েন করা হয়েছিল তার কাজে যোগ দেওয়ার সময় ছিল সন্ধ্যা ছটা থেকে তবে তারপরও সাড়ে আটটার নাগাদ তারা খবর পায় যে তাদের ঘরের চুরির ঘটনা ঘটেছে, যা শুনেই হতবাক হয়ে পড়ে তারা। এই ঘটনার কোন ছবিও ধরা পড়ে না ওই সমস্ত এলাকায় বাড়ির চারপাশে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার কারণে। এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়েও হতচকিত হয়ে পড়েন। কিভাবে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়ন করে যাওয়ার পরও বাড়ির মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটলো তা নিয়েই ভাবিয়ে তুলেছে তাদের। বাড়ির সদস্যদের দাবি বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা ও নগদ প্রায় 25 থেকে 30 হাজার টাকা বাড়ি থেকে চোরের দল বিভিন্ন আলমারি ভেঙ্গে খুলে ফেলে হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে ।
এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশের বিশেষ দল ঘোষণা তদন্ত শুরু করে শনিবার রাতেই বেশ কয়েক দফায় এলাকার বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালানোর সাথেই আশেপাশের অংশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ। এখন দেখার কত দ্রুত এই ঘটনার কিনারা করতে পারে পুলিশ। তবে এই অংশে চুরির ঘটনায় প্রথম নয় এর আগেও বেশ কয়েক দফায় চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার বাসিন্দাদের সিসিটিভি লাগানোর জন্য অনুরোধ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। নিজের বাড়িতে সিসিটিভি লাগালেও ওই কলোনির চারপাশে সিসিটিভি লাগানোর কোন উদ্যোগী কেউ নেয়নি তাই দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া অনেকটাই জটিল হয়েছে এই অংশে। এখন দেখার প্রশাসন এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।