ASANSOL

আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগ, শিল্পে স্কিল কর্মীর ব্যবস্থায় ” উৎকর্ষ বাংলা” ওয়ার্কশপ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,  রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে স্কিল বা দক্ষ কর্মীর ব্যবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগো ” উৎকর্ষ বাংলা ” শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপ বা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড়ের একটি বেসরকারি হোটেলের কনফারেন্স হলে রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের ( টেকনো এডুকেশন, ট্রেনিং এ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট) সহযোগিতায় এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছিলো।। এই অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এডিএম অতিরিক্ত জেলাশাসক ( স্কিল)  ইন্দ্রদেব ভট্টাচার্য, জেলা নোডাল অফিসার ( স্কিল) দেবব্রত সরকার, পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রজেক্ট ম্যানেজার ( স্কিল) রাজেশ অধিকারী ও পিএডিইও ( স্কিল) সুমন্ত শ্যাম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে সভাপতি গৌরী শঙ্কর আগরওয়াল, প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান শচীন রায়, জেনারেল সেক্রেটারি বা মহাসচিব বিনোদ গুপ্ত, কো- চেয়ারম্যান উজ্জ্বল রায় সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


এই প্রসঙ্গে শচীন রায় তার স্বাগত ভাষনে বলেন,  আসানসোলে শিল্প বাড়ানোর জন্য এটি একটি ভাল সময়। বার্নপুর সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানার আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ২৭ হাজার কোটি টাকা সেখানে বিনিয়োগ করা হবে। এটা ছাড়াও আসানসোলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।  আসানসোলে আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যা সবার সদ্ব্যবহার করা দরকার। তিনি আরো বলেন, সব জায়গায় স্কিল বা দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। রাজ্য সরকার, তাই এই ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন করছে।


সভাপতি গৌরী শঙ্কর আগরওয়াল বলেন, আসানসোলে শিল্পের প্রসারে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার শিল্পপতিদের এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।
অন্যদিকে বিনোদ গুপ্ত, আসানসোলে শিল্পের প্রসারে এই ধরনের ওয়ার্কশপ প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন,  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে উৎকর্ষ বাংলা চালু করেছিলেন। এতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিল্পপতি উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিরা এর থেকে অনেক সুবিধা পান।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক ইন্দ্রদেব ভট্টাচার্য বলেন, এটা রাজ্য সরকারের একটা অভিনব উদ্যোগ। শিল্প মহলে এর ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আমরা চাই পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পপতিরা এর লাভ নিন। জেলা প্রশাসন সবরকম ভাবে সহযোগিতা করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *