ছট ঘাটে নজরদারি চালাবে ড্রোন ও সিসিটিভি ক্যামেরা
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : কড়া নজরদারির মধ্যেই এবার, কয়লাঞ্চলে ছটব্রত সম্পন্ন করছে প্রশাসন। নজরদারির জন্য থাকছে সিসিটিভির সাথেই, সমস্ত ছট ঘাটের ওপর ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। ছট পুজোয় দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে, ছট পুজোর সময়কালে যে কোন রূপ দুর্ঘটনা রুখে দিতে, তৎপর হলো পুলিশ। এবার সেই বিষয়ের লক্ষ্যে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এসিপি সেন্ট্রাল টু বিমান মৃধা , রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্ত ও বল্লভপুর ফাঁড়ির আইসি সৌমেন ব্যানার্জি সহ অন্য সকল পুলিশ আধিকারিকেরা, খনি অঞ্চল রানীগঞ্জের গ্রামীণ ও শহর এলাকার সমস্ত ছট ঘাট গুলি কতটা সুরক্ষিত রয়েছে সে বিষয়গুলি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন।
এদিন তারা প্রথমেই রানীগঞ্জের দামোদর নদের মেজিয়া ঘাট, জল ট্যাংকি ঘাট, নারানকুড়ি ঘাট পরিদর্শন করেন। সেখানে দামোদর নদের মধ্যে কিরূপ ভাবে, ছট ব্রত কারীরা সাবধানে পুজো করতে পারবেন, তা তারা খতিয়ে দেখেন। সংলগ্ন এলাকার প্রধান উপ প্রধান সহ অন্য সকল সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ছট ঘাট গুলিতে যাতে, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে, রাস্তার যাতায়াতের পথ ভালো থাকে সে সকল গুলি সঠিক করার নির্দেশিকা দেন ডিসিপি। এরপরই তিনি অন্য সকল পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রানিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন অংশে থাকা পুকুরগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। যেখানে তারা এই পুকুরের ছট ঘাট গুলি, কতটা নিরাপদ সে সকল গুলি খতিয়ে দেখে। পুজো উদ্যোক্তাদের সকল রকম পর্যাপ্ত আলো ও জল রাখার নির্দেশ দেন, একই সাথে মেডিকেল টিম ও ভলেন্টিয়ারদের সঠিক পরিচয় পত্র দিতে বলেন।
আর কি কি অসুবিধে রয়েছে কোন কোন অসুবিধা গুলি দূর করতে হবে, সে সকল গুলি নিয়ে, স্থানীয় এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথাও বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এদিন ডিসিপি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ছট ঘাট গুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য থাকছে বিশেষ পুলিশ দল, এছাড়াও চারিদিকে থাকছে টহলদারির বিশেষ ব্যবস্থা। দিকে দিকে পুকুরে ও নদ নদীতে থাকছে বিশেষ উদ্ধারকারী দল, আর এ সকলের সাথেই বেশ কয়েকটি এলাকায় থাকছে নজরদারির জন্য ড্রোন ক্যামেরার ব্যবস্থা। পাশাপাশি ছটঘাটের সংলগ্ন অংশে মেডিকেল ক্যাম্প ও অনুসন্ধান ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে পরিষেবা প্রদানের উদ্যোগ নেবেন পুলিশ প্রশাসন।