বারাবনির শ’মিলে হানা বন দপ্তরের, বাজেয়াপ্ত প্রচুর পরিমাণে বেআইনি কাঠ
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি, মনোজ শর্মা ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনিতে পু্ঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কেলেজোড়া গ্রামে সোমবার গভীর রাতে একটি কাঠের মিলে হানা দেয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা
বন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। মিলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কাঠ দেখতে পান বন দপ্তরের আধিকারিকরা। সেইসব কাঠের কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি মিলের মালিক শেখ আসগার। এরপরই বেআইনি বলে সেইসব কাঠ বন দপ্তর বাজেয়াপ্ত করে। তারপর বন দপ্তরের আধিকারিকরা সমস্ত কাঠের বড় লম্বা টুকরো ও কাঠের গুঁড়িগুলোকে মিলের মধ্যে এক জায়গায় রেখে দেন। এই মিলের যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে বলা হয় মঙ্গলবার সকালে এইসব কাঠ নিয়ে যাওয়া হবে বন দপ্তরের অফিসে। সেই মতো এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তারা কাঠ মিলে বন দপ্তরের গাড়ি আসে ও বাজেয়াপ্ত করা কাঠ নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, শেখ আসগার তার এই মিলটি অন্য একজনকে লিজে চালানোর জন্য দিয়েছেন। এদিন সকালে খবর পেয়ে যখন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি মিলে পৌঁছে ছবি তুলতে যান, তখন মালিক তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তিনি বন দপ্তরের এই হানা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বন দপ্তরের বারাবনির সরিষাথলির বিট অফিসার সুমন্ত দাস বলেন, মিলের কোন সমস্যা নেই। লাইসেন্স আছে। কিন্তু এখানে যে কাঠ পাওয়া গেছে, তাতে বন দপ্তরের যে চিহ্ন থাকে, তা এগুলোতে নেই। এগুলো সব প্রাইভেট কাঠ। যা বেআইনি। তাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে কত পরিমাণ কাঠ এদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা বিট অফিসার বলতে পারেননি। তিনি বলেন, মাপ করে তা বলা যাবে।