DURGAPUR

ছেলের জন্মদিনের রাতে মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ছেলের ১৫ তম জন্মদিন পালনের রাতে বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো মায়ের গলায় ওড়নার ফাঁস লাগালো ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার তেতিখোলা কালীগঞ্জ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার নাম রিঙ্কি শিকদার ( ৩৭)। শনিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মহিলার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
এদিন মৃতার বাবা আশীষ দেব গোটা বিষয়টি নিয়ে নিউটাউনশিপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সেই অভিযোগ তিনি জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে মেয়ে রিঙ্কির উপর বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি, তাকে মরে যাওয়া জন্য প্ররোচনা দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, তার মেয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়নি। তাকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা খুন করে আত্মহত্যা করেছে বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আশীষবাবু মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের কড়া শাস্তির দাবি করেন।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভালোবাসার সম্পর্কের সূত্রে বছর ১৭ আগে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রবিতীর্থর বাসিন্দা রিঙ্কি দেবের সঙ্গে দূর্গাপুরের কালীগঞ্জের বাসিন্দা রনবীর শিকদারের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে সন্দেহ করতো রনবীর। তারজন্য তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। দুর্গাপুরের বিধাননগরের এক বেসরকারি নার্সিং হোমের মালিক রনবীর শিকদার। এই পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছায় শুক্রবার রাতে। রিঙ্কির বাবা ও তার ১৫ বছরের ছেলের একসাথে জন্মদিন পালন হয় শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জের বাড়িতে। কিন্তু সেই জন্মদিন পালনের পরেই ফের অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, অনেক রাতে রিঙ্কির স্বামী বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর তার ঝুলন্ত দেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়।

খবর পেয়ে পরে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ আসে।  রিঙ্কির পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করে টাঙিয়ে দিয়েছে রনবীর শিকদার ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। নিউটাউনশিপ থানায় রনবীর শিকদার ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করেছে রনবীরকে। রিঙ্কির দেহ ময়নাতদন্তর জন্য প্রথম দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তা আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য বলে নিউটাউন শিপ থানার পুলিশ জানায়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *