আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি অধ্যাপকদের নতুন সংগঠনের, ১৬ দফা দাবির স্মারকলিপি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের পরে এবার অধ্যাপক ও অধ্যাপিকদের নতুন সংগঠন। আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ খরচের হিসেব চেয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গতঃ, কিছুদিন আগেও রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অভিযোগ করেছিল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের দেওয়া অর্থ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলার জন্য খরচ করেছে। এর হিসেব চেয়ে রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঢুকতে না দিয়ে টানা আন্দোলন করেছিলো। এবার সেই দাবি সহ আরো কয়েকটি দাবী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবগঠিত অধ্যাপকদের সংগঠন “কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি” বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি স্মারক লিপি জমা দিয়েছে।




তাতে বলা হয়েছে, গত তিনটি আর্থিক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে । দ্বিতীয়তঃ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বৈধ আইনজীবীর তালিকা থেকে আইনজীবী নিয়োগ করা ও কোর্ট কেস সংক্রান্ত খরচ নিয়ন্ত্রণ করা নীতি গ্রহণ করতে হবে। তৃতীয়তঃ, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসির মিটিংয়ে গ্রহণ করা প্রস্তাবগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবশ্যিকভাবে দিতে হবে। চতুর্থতঃ, বাংলা বিভাগে বিদেশি ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার বিষয় অতি দ্রুত সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। মোট ১৬ টি দাবি জানিয়ে ঐ স্মারকলিপিতে ৬৫ জন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকারা স্বাক্ষর করেন সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে জানান সমিতির সভাপতি পরিমলেন্দু বন্দোপাধ্যায় । তিনি আরো বলেন, এই সমিতি অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সকলের স্বার্থেই আরো ভালো করে করা হোক। রেজিস্টার আমাদের দাবিগুলি শুনেছেন। আমরা এক মাসের মধ্যে এগুলি কার্যকরী করার দাবি জানিয়েছি।
এদিকে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা গেছে , এই তিন বছর সময়কালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রায় কোটি টাকা আইনগত খাতে ব্যয় করেছে।
গত কয়েক মাস ধরে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সহ বিভিন্ন সংগঠন এই ব্যয়ের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এই ব্যয় করা নিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি বা সরকারি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কেউ কোন ব্যাখা দেননি।