DURGAPUR

ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক, খুনের অভিযোগে দেহ আটকে বিক্ষোভ পরিবারের,

বেঙ্গল মিরর, কাঁকসা ( দূর্গাপুর) , রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় গত শনিবার রাতে বলে অভিযোগ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার ক্যানেলপারের বাসিন্দা মৃত শ্রমিকের নাম সতীশ মন্ডল( ৩৩)। ব্যাঙ্গালোরে কাজে নিয়ে যাওয়া ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ও দেহ ফিরে পেতে ৪দিন পর, গত বুধবার কাঁকসা থানার পুলিশের দারস্থ হয়েছিল সতীশ মন্ডলের স্ত্রী জ্যোৎস্না মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা।


পরিবারের অভিযোগ ছিলো, গত কয়েক বছর ধরে এক ঠিকাদারের সাথে সতীশ মন্ডল পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ব্যাঙ্গালোরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান ।গত কালি পুজোর পরে সে কাঁকসার বাড়িতে এসেছিলো। পরে সে ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিল। গত রবিবার সকালে কাঁকসার ক্যানেলপাড়ের বাড়িতে ঠিকাদার ফোন করে তার মৃত্যুর খবর জানায়। এর পরেই পরিবারের সদস্যরা৷ সতীশের দেহ বার বার পাঠানোর কথা বললে, ঠিকাদার টাল বাহানা করতে থাকে বলে অভিযোগ পরিবারের। এর পরেই কাঁকসা থানার দারস্ত হয়েছিল তার পরিবার।


শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালোর থেকে বিমানে শনিবার সকালে অন্ডালে কাজি নজরুল ইসলাম বিমান কফিন বন্দি সতীশ মন্ডলের দেহ আনা হয়। পরে দুপুরে ঠিকাদার রবি সরকার সতীশের দেহ বাড়িতে আনতেই শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল। দেহ এলাকায় ঢোকার মুখে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা। তার স্ত্রী জ্যোৎস্না মন্ডল, বৌদি শুক্লা মন্ডল ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন  পুনরায় দেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। কারণ তারা বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পেরেছেন, তাকে খুন করা হয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের হাসপাতালে যে ময়নাতদন্ত হয়েছে তা তারা মানতে নারাজ। তাই এখানে আবারও সতীশের দেহর ময়নাতদন্তের দাবি করেন তারা। পাশাপাশি তারা ঠিকাদারকেও গ্রেফতারের দাবি জানায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এই বিক্ষোভের জেরে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।  এলাকার মানুষেরা ঠিকাদারকে মারার চেষ্টা করেন।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে উত্তেজিত ও মারমুখী জনতার হাত থেকে কোনমতে ঐ ঠিকাদারকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের আশ্বাসে কফিন বন্দি সতীশের দেহ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। এরপরে গোটা এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ জানায়, ঠিকাদারের কাছ থেকে সবকিছু জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *