আসানসোলে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীর উপস্থিতিতে ” সদস্যতা অভিযান “, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ
*বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ভারতীয় জনতা পার্টি ( বিজেপি) সারাদেশের পাশাপাশি বাংলায় দলের সদস্য করতে বিশেষ প্রচারের মাধ্যমে ” সদস্যতা অভিযান ” চালাচ্ছে।
রবিবার সেই অভিযানে অংশ নিতে ভারতীয় জনতা পার্টি মহিলা মোর্চা রাজ্য সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র আসানসোলে আসেন। মুলতঃ তার নেতৃত্বে এদিন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে সদস্যতা অভিযানের এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিলো। এদিন বিশেষ করে আসানসোল পুরনিগমের ৪০ নং ওয়ার্ডের মন্ডল ১ র ট্র্যাফিক কলোনি , রেলপার , চক্রবর্তী মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় মহিলাদের মধ্যে এই অভিযান চালানো হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে ফাল্গুনী পাত্র ছাড়াও বিজেপি মহিলা মোর্চার আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রেখা ভট্টাচার্য, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, মন্ডল সভাপতি দিলীপ প্রধান, মদন মোহন চৌবে সহ সংগঠনের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সারাদেশে এই সদস্যতা অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রের সরকার চলছে। সেই সরকারের কাজ দেখে কেন্দ্র নেতৃত্ব মনে করছেন, নতুন করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালানোর প্রয়োজন রয়েছে। এর থেকে বোঝা যাবে জনগণের মধ্যে সরকারের কাজের কতটা প্রতিফলন ঘটেছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এর কতটা প্রভাব পড়েছে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশের সঙ্গে বাংলায় দলের সদস্যতা অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিন আসানসোল শহরে তা হচ্ছে। তার দাবি, বাংলার মহিলাদের মধ্যে বিজেপির সদস্য হওয়া নিয়ে যথেষ্ট ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প চলছে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। কিন্তু বাংলায় সেইসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এদিন আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সদস্যতা অভিযানের পাশাপাশি মহিলাদেরকে কেন্দ্র সরকারের এইসব প্রকল্পের কথা জানালাম।
একইসঙ্গে তিনি বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, আজ রাজ্যের কোন মহিলা, তা যে বয়সেরই হোন না কেন, তিনি নিরাপদ নন। কেউ কোনও কাজে বাড়ির বাইরে গেলে তিনি আদৌও নিরাপদ নয়। তার পরিবারের সদস্যরা তার নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকেন। তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, তা পরিবার জানেনা। যতক্ষণ না তিনি বাড়ি ফিরে আসছেন। এই সমস্ত বিষয় এদিন সদস্যতা অভিযানের সময় মহিলাদের সামনে রাখা হয়েছে।