আসানসোলে শুরু ৮ম পশ্চিম বর্ধমান জেলা বইমেলা, রাজ্যে বাড়ছে বই বিক্রি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাবি রাজ্যের দুই মন্ত্রীর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নয়, গোটা বাংলায় বাড়ছে বই বিক্রি। একইসঙ্গে বাড়ছে বইপ্রেমীদের সংখ্যাও। বইমেলায় সাধারণ মানুষেরা আগের চেয়ে অনেক বেশি করে আসছেন। রবিবার বিকেলে আসানসোলে পোলো গ্রাউন্ডের পাশে এনসিসি ময়দানে ৮ম পশ্চিম বর্ধমান জেলা বইমেলা ২০২৪-২৫ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিসেবা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও শ্রম, আইন ও বিচার বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন দুপুরে রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার পরিসেবা অধিকার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যকের উদ্যোগে হওয়া এই বইমেলার সূচনা হয় একটি পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে। স্কুল পড়ুয়া, বইপ্রেমী ও বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে এই পদযাত্রা আসানসোল জেলা গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে কোর্ট রোড দিয়ে মেলা ময়দানে এসে শেষ। বইমেলা মঞ্চকে বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের নামে করা হয়েছিলো। সেই নজরুল মঞ্চ থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে দুই মন্ত্রী সহ অন্যান্যরা জেলা বইমেলার উদ্বোধন করেন। মঞ্চে সদ্য প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের ছবি রাখা হয়েছিলো। দুই মন্ত্রী সহ অন্যান্যরা সেই ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এক মিনিট নীরবতা পালনও করা হয়।




উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, এই মুহুর্তে রাজ্যে সরকারি ভাবে ১৪ টি ভাষায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ বই আছে। এই পরিমাণ বই দেশের অন্য কোন রাজ্যে সরকারি ভাবে নেই। আমি নিজে গিয়ে দিল্লিতে মেট্রোপলিটন লাইব্রেরিতে দেখে এসেছি, সেখানে ৮০ হাজার বই আছে। এর থেকেই বোঝা যায় যে, বাংলায় বইয়ের চাহিদা কতটা আছে। রাজ্যে যেসব লাইব্রেরি আছে, সেখানে তিনটি স্তরে সদস্যপদ দেওয়া হয়। একটা ১৮ বয়স পর্যন্ত। বাকি দুটি হলো ১৯ থেকে ৬০ বছর ও ৬০ বছরের উপরে। এছাড়াও গ্লোবাল মেম্বারশিপ দেওয়া হয়। তার সংখ্যা ৫ হাজার। দপ্তর থেকে বলা হয়েছে রাজ্যের সব সরকারি গ্রন্থাগারে আইপিএস, আইএএস ও ডব্লুবিসিএস পড়ার জন্য আলাদা কর্নার করতে। তিনি আরো বলেন, গত বছর সরকারি বইমেলা থেকে সাড়ে ১২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো। ১ কোটিরও বেশি মানুষ বইমেলায় এসেছিলেন। ২০২২-২০২৪ সালে এই বইমেলা থেকে সরকারি ভাবে ৬ কোটি টাকার বই কেনা হয়েছিলো। এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫২ টি সরকারি গ্রন্থাগারের মধ্যে একটি বন্ধ আছে। বাকি ৫১ টিতে বইয়ের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৩২১।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, গত বছরের সরকারি বইলেলায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো। রানিগঞ্জে আরো একটি সরকারি বইমেলা থেকে ১৩ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিলো। মনে রাখতে আসানসোলে আরো একটি সংগঠন বইমেলা করে। তার দাবি, এবারের বইমেলায় আগের বারের চেয়ে বেশি বিক্রি হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আসানসোলের মহকুমাশাসক ( সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমূল হক, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রশান্ত রাজ শুক্লা, জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের যুগ্ম সচিব দেবারতি ঘোষ পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়।
এই বইমেলা ৪ জানুয়ারি ( ২০২৫) পর্যন্ত চলবে।

- 100 Pipers Controversy : शराब की बोतलों पर कविगुरु की कविता
- আসানসোলে বাংলা দিবস উপলক্ষে ” শুভ নববর্ষ বরণ ” অনুষ্ঠান
- বিদেশী মদের বোতলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, নববর্ষেই বিতর্ক, আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারী বাংলা পক্ষের
- আসানসোল শহরে ফ্লাইওভার সহ একাধিক দাবি নিয়ে নববর্ষে মন্ত্রীর কাছে ফসবেকি
- Durgapur NIT में विस्फोट ! प्रोफेसर व छात्र घायल