অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর খুঁড়ে দিতে তৎপর হলো আসানসোল কর্পোরেশনের বরো দপ্তর
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এবার অবৈধভাবে ভরাট করা পুকুর আসানসোল কর্পোরেশনের বরো দপ্তর নিজেদের উদ্যোগেই খুঁড়ে দিতে তৎপর হলো। শনিবার এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেল রানীগঞ্জের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামবাগান কলোনী এলাকায়। জানা যায় এলাকারই দীর্ঘ প্রাচীন মাজিপুকুর এর পাড় বরাবর বেশ কিছু অবৈধভাবে জমি বিক্রি করে বাড়ি তৈরি করে ফেলা হয়েছে, আর শুধুমাত্র পাড় ঘিরেই এই বাড়ি তৈরি করে ক্ষান্ত হয়নি অনেকে। বেশ কিছু জন তার পাশাপাশি পুকুরের মধ্যে মাটি ও বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী ফেলে পুকুরের পাড় গুলিকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য ঘিরে ফেলছে।




এই সকল অভিযোগ রানীগঞ্জ বরো দপ্তরে আসার পরপরই রানীগঞ্জ বরো দপ্তরের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল শাহজাদা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুকুর যাতে কোন মতেই ভরাট করা না হয় সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে পুকুরের যে পারে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল সে সকল মাটি নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরিয়ে দিলেন তারা। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন কোনোভাবেই কোন জলাশয় বা চলা জায়গা ভরাট করতে দেওয়া যাবে না, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সমস্ত জলাশয় কে পুনরায় স্ব অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর আর সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই পুকুরের মধ্যে কোনরূপ কোন ভরাটের কাজ হলে তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর কোন জায়গাতেই জলাশয় বা পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত কড়া হাতে তা দমন করা হবে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বলেই জানান তিনি।
যদিও যে অংশে ওই পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে সেই অংশের জমিতে বসবাসকারী মানুষজন অবশ্য দাবী করেছেন কয়েকটি গাছ লাগানোর জন্য তারা মাটি ফেলেছিলেন সেখানে যদিও সেখানে ভরাট করার তাদের কোন উদ্দেশ্য ছিল না বলেই দাবি তাদের। উল্লেখ্য রানিগঞ্জের বিভিন্ন অংশে পুকুর ভরাটের অভিযোগ এই প্রথম নয় দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কিছু জায়গায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ পূর্বের সামনে এসেছে এখন দেখার যে সকল এলাকায় পূর্বে পুকুর ছিল পরবর্তীতে তা ভরাট করে দেওয়া হয়েছে সে সকল পুকুর ও জলাশয়গুলিকে তার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কর্পোরেশন কত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।