পড়শি রাজ্যে নার্সের কাজে গিয়ে রহস্য মৃত্যু দূর্গাপুরের যুবতীর, হোস্টেল থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডে নার্সের কাজে গিয়ে বাংলার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের এক যুবতীর রহস্য মৃত্যু হলো । দেওঘরের একটি মহিলা হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর পচা গলা দেহ। পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাই তারা দেওঘরে গেলে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। মৃতের পরিবারের তরফে তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে পরিবারের তরফে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। দূর্গাপুরের স্টেশন খোলা এলাকার বাসিন্দার মৃত যুবতীর নাম বিউটি রানা (৩০)। স্বাভাবিক ভাবেই মৃতার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন সকাল থেকেই যুবতীর প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনেরা তার বাড়িতে আসেন। তারা ভেবেই উঠতে পারছেন না যে, এই ঘটনা কি করে ঘটলো।




জানা গেছে, তিন বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতে দূর্গাপুরের বিউটি রানা। গত ২১ ডিসেম্বর বিউটির সাথে শেষবার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল পরিবারের। তারপর থেকে কোন যোগাযোগ না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্য ও পরিজনেরা। গত শুক্রবার বিউটির বাবা পরেশ রানা দেওঘরে যান। হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, বিউটি গত ২১ ডিসেম্বর বাড়ি যাবে বলে কাজ থেকে ছুটি নিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার বাবার কাছ থেকে জানতে পারে, যে সে বাড়ি যায় নি। এরপর তিনি মেয়ে যে, মহিলা হোস্টেলে থাকে সেখানে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন বিউটির রুমে তার পচাগলা দেহ পড়ে আছে। আপাততঃ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খন্ডের দেওঘর থানার পুলিশ বলে জানা গেছে।
পাঁচ বছর আগে বিউটি রানার বিয়ে হয়। তার চার বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।
এদিন এই প্রসঙ্গে বিউটির মা মালতি রানা ও দিদি মৌসুমী সাহা বলেন, কি করে এই ঘটনা ঘটলো। আমাদের মনে হচ্ছে, ঐ হাসপাতালের কর্মীরা তাকে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে। রুমে যখন তার দেহ উদ্ধার করা হয়, তখন সেখানে কোন কিছু জিনিস ছিলোনা। সেটা কি করে হয়? তারা আরো বলেন, বলেছিলো বাড়ি আসবে। শরীর খারাপ আছে। হাসপাতালেও বলেছিলো, ও বাড়ি যাচ্ছে। আমরা চাই, পুলিশ এর যথাযথ তদন্ত শুরু করুক।