KULTI-BARAKAR

রেলের জমিতে জবরদখল উচ্ছেদে বাধা, মেয়র পারিষদের নেতৃত্বে ধর্ণা বিক্ষোভ, বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে ” গোব্যাক ” স্লোগান

বেঙ্গল মিরর, বরাকর ( কুলটি), রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol Barakar News Today ) রেলের জমিতে বেশ কয়েক বছর ধরে বাস করছে একাধিক পরিবার। সেই জমি নিজেদের ব্যবহারের জন্য জবরদখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হলো পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রেল আধিকারিক ও আরপিএফকে। বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঐ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দিতে হবে, তার আগে তাদেরকে কোনভাবেই উচ্ছেদ করা যাবেনা। এই দাবিতে ঐ এলাকাতেই ঐসব পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদেরকে নিয়ে ধর্ণা বিক্ষোভ বসে পড়েন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী মিশ্র।

শ্লোগান দেওয়া হয়, ” এটা উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট। এটা বাংলা। এখানে কোন বুলডোজার চলতে দেওয়া যাবে না। আগে পুনর্বাসন দিতে হবে”। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন কুলটি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার। তাকে ঘিরে ” গোব্যাক ” স্লোগান উঠে। বিজেপি বিধায়ক পাল্টা এই বিক্ষোভ ও বাধা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেন। তার দাবি, আমি এইসব পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখবো। এলাকায় থাকা আরপিএফের জওয়ানরা মেয়র পারিষদ ও বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে আরপিএফের জওয়ানরা কোনমতে পরিস্থিতি সামাল দেন। সোমবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কুলটির বরাকরের বালতোড়িয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে এই ঘটনা হয়। শেষ পর্যন্ত রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে, আরপিএফ ও অন্যান্যারা এদিন উচ্ছেদ না করে ফিরে যান।


জানা গেছে, কুলটির বরাকরের বালতোড়িয়ায় রেলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু পরিবার বাস করছিলো। সম্প্রতি, রেলের তরফে সেই জমি খালি করার জন্য ঐ পরিবারগুলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। তাদেরকে জমি খালি করে দিতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিলো। সেই সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেই সোমবার সকালে দশটা নাগাদ রেলের আধিকারিকরা আরপিএফের জওয়ানদেরকে নিয়ে এলাকায় আসেন। নিয়ে আসা হয়েছিলো বুলডোজারও। তারপরই সেখানে আসেন মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী মিশ্র। পরে সেখানে এসে পৌঁছান বিজেপি বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার।


এই প্রসঙ্গে রেলের তরফে এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কি হয়েছে, তা ভালো করে বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আসানসোলে রেল তথা কেন্দ্রীয় সংস্থার জমি থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বাধা নতুন কোন ঘটনা নয়। যা নিয়ে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের তরজাও হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *