RANIGANJ-JAMURIA

তালা ভেঙে লুট সোনার গহনা ও আসবাবপত্র

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুড়িয়া :   আবারো জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাড়ি এলাকার শিবডাঙ্গা অঞ্চলে নির্জন বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর পাঁচটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। পূর্বে এই শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকারই শান্তি কলোনি অঞ্চলে পরপর চারটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটার খবর প্রকাশ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আবারো সেই এলাকারই ইন্দ্রাকলনিতে একই রূপ ভাবে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, চোরের দল বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙে লুট করলো বাড়িতে থাকা মূল্যবান সোনার গহনা ও আসবাবপত্র। যার মধ্যে দিন সব থেকে বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করল ইসিয়ার কর্মী কার্তিকর ছেলে বৈদ্যনাথ । তার দাবি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে তারা বাইরে গেছিলেন আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরের দল বাড়ির আলমারিতে থাকা বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা রুপোর গহনা সহ কিছু মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে।

সেখানেই ইসেল কর্মীর ছেলে অভিজিৎ বাউরী তার খনি কর্মী বাবার বাড়িতেই বসবাস করে। বর্তমানে যে বোম্বেতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে তার বাড়িতেও কোন লোকজন না থাকায় সেখানেও চোরের দল বাড়ি ঢুকে সমস্ত ঘর লন্ডভন্ড করে সোনার উপর অলংকার চুরি করে নিয়ে গেছে বলেই দাবি করেছেন তারই বোন পায়েল। সেখানেই এক ইসিয়ার কর্মী কিশানু দেবদাস ইসিএল এর কয়লা খনির কাজে নির্জন বাড়ি ফেলে রেখে চলে যাওয়ায় তার বাড়িতেও চোরের দল হানা দেয় যদিও তার দুটি রুপোর কয়েন চুরি গেছে বলেই দাবি করেছে সে। জানা যায় ভালো কাজ করার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ তাকে সেই রুপোর কয়েন দুটি দিয়েছিল যা অনেকটাই মূল্যবান তার কাছে যদিও সে সকলের মূল্য না বুঝেই চোরের দল চুরি করেছে এর উপর কয়েন।

তবে অল্পের মধ্যেই ফাড়ো কেটেছে  আলম মিয়ার তার বাড়ির মধ্যে থাকা বৈদ্যুতিন ফ্যান চুরি করেছে চোরের দল তবে এ যাত্রায় কোনক্রমে পার পেয়েছে লতিফ মিয়া, তার বাড়িতেও কোন মানুষজন না থাকায় চোরের দল বাড়িতে চুরি চেষ্টা চালায় তবে জানলা ভেঙ্গে ঢুকতে গেলেও কোন অজ্ঞাত কারণেই চোরেরা পালিয়ে যায় সেখানে থেকে তাই তার বাড়ি থেকে কিছুই চুরি যায়নি বলেই জানা গেছে। তবে খনি অঞ্চলের এই এলাকায় চুরির ঘটনা এখন আম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এলাকার মানুষজন এদের দাবি এখানের যুব সদস্যরা এত বেশি নেশাগ্রস্ত হয়েছে যে নেশার টাকার যোগাড় করতেই দিকে দিকে চুরি করে বেড়াচ্ছে তারা, বেশ কয়েক দফায় এই চুরির বিষয় লক্ষ্য করে নেশাগ্রস্থদের অল্প একটু শোধরানোর জন্য মন্দিরে চলা নেশার আখড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে তাতে কি যায় আসে এখন মন্দির ছাড়িয়ে মাঠে-ঘাটে সর্বত্রই নেশার আখড়া হয়েছে শিবপুর এলাকা বলেই দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বুধবার চুরির ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ চুরির ঘটনা গুলির তদন্তে একের পর এক বাড়িঘরে গিয়ে খোঁজ তল্লাশি চালায়। কার বাড়ি থেকে কি কি বিষয় চুরি গিয়েছে সে সকল বিষয়গুলিও তারা নথিভুক্ত করে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি পুলিশ প্রশাসন তাদের এলাকায় ক্রমাগত নজরদারি রাখতে পেট্রোলিং করে থাকে যদিও তারপরও চোরের দল সুযোগ বুঝেই বাড়িতে না থাকা সদস্যদের বিষয়টি লক্ষ্য করে অতর্কিত সেই সকল বাড়িতে হানা দিয়ে লুট করে নেয় মূল্যবান সামগ্রী সোনা রুপোর গহনা আর নগদ টাকা। আর এই সকল বিষয় লক্ষ্য করেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জামুড়িয়ার শিবপুর এলাকার বাসিন্দারা। তাদের এখন একটাই দাবি এলাকাকে নেশাগ্রস্ত যুবকদের হাত থেকে বাঁচান চুরির হাত থেকে বাঁচান নয়তো সমস্তটাই শেষ হয়ে যাবে বলেই দাবি করেছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *