BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

পারিবারিক ঝগড়া থেকে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী

বেঙ্গল মিরর, সালানপুর ও আসানসোল, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পারিবারিক কারণে ঝগড়া। তার জেরে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবারের এই ঘটনাটি আসানসোলের সালানপুর থানার ফুলবেড়িয়া বোলকুন্ডা পঞ্চায়েতের আলকুশা গ্রামের। মৃতার নাম নীলমণি সোরেন (৩৫)। মৃতার বাপের বাড়ির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সালানপুর থানার পুলিশ স্বামী তরুণ সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে বলে এদিন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত হাটি জানিয়েছেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নীলমণি সোরেনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।

criminologist in gloves zipping bag with dead body
Photo by Faruk Tokluoğlu on Pexels.com


জানা গেছে, সালানপুর থানার আলকুশা গ্রামের তরুণ সোরেনের সাথে নীলমণি সোরেনের বিয়ে হয়েছিল বছর দশেক আগে। দুজনেই দিনমজুরের কাজ করত। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৪/৫ বছর পর থেকে তরুণ প্রায়ই নেশা করে বাড়িতে  আসতো। তারপর পারিবারিক কারণে ঝগড়া হতো ও সে নীলমনিকে মারধর করত বলে অভিযোগ।
বুধবার বিকেলে তরুণ সোরেন বাড়ি ফিরে আসে। এরপর নীলমনির সাথে তার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। তরুণ স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। তারপর বাড়ির থাকা  একটি ছুরি দিয়ে সে স্ত্রীকে আঘাত করার চেষ্টা করে।স্বামীর মারা ছুরি সে হাত দিয়ে আটকাতে গেলে হাতে চোট পায়। এরপর তার বুকে পর পর ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার কুপিয়ে দেয় তরুণ। এর ফলে নীলমণি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাড়িতে থাকা মেয়েদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোক ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় সালানপুর থানার সামডি ফাঁড়িতে। সেই খবর পেয়ে ছুটে আসে সামডি ফাঁড়ির পুলিশ। তড়িঘড়ি গুরুতর জখম অবস্থায় নীলমণি সোরেনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তরুণ স্ত্রীকে কুপিয়ে মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু প্রতিবেশিরা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে আটক করে পুলিশ নিয়ে যায়। পুলিশ বাড়ি থেকে রক্তমাখা ছুরি  বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবার রাতে ঘটনা নিয়ে মৃতার বাপের বাড়ির তরফে সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে ও এদিন মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা। একটি মামলা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *