PANDESWAR-ANDAL

মৃত্যুর দেবতা বাঁচিয়েছিল চাষীকে ! তাই ঝাঁঝরা গ্রামে হয় যমরাজের পুজো

বেঙ্গল মিরর, সার্থক কুমার দে, লাউদোহা : বছরভর বিভিন্ন সময়ে হিন্দু দেব-দেবীর পূজোর আয়োজন হয় । কিন্তু স্বয়ং মৃত্যুর দেবতা যমরাজের পুজো সচারচর দেখা যায় না । দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামে প্রাচীনকাল থেকেই এই পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে । দুর্গাপুর ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামে বুধবার ঘটা করে হল মৃত্যুর দেবতা যমরাজের পুজোর আয়োজন । প্রতিবছর ১লা মাঘ, এক্ষ্যেনের দিন নিয়ম মেনে পুজো টি হয় । গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে যমরাজের মন্দির । প্রবীণ বাসিন্দারা জানান আগে মাঠের মধ্যেই পুজো হতো । মন্দির ছিল না । সাম্প্রতিক কালে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় সেখানে একটি মন্দির নির্মাণ হয়েছে । পুজো ছাড়াও সেখানে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয় । গ্রামের সবাই এই পুজোতে যোগ দেয় । যমরাজের পুজোর সাথে জড়িয়ে আছে অলৌকিক ঘটনার লোককথা । সেই ঘটনাকে সত্যি বলে মানে গ্রামের লোকজন ।

কি সেই লোক কথা ? প্রবীন বাসিন্দা রাকেশ পাল জানান গ্রামে ঠিক কত বছর আগে যমরাজের পুজোর সূচনা হয়েছে তা জানা নেই । তবে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই পুজোর কথা শুনেছি । তাই পুজোটি বহু প্রাচীন বলে দাবি করেন তিনি । বলেন অতীতে কোন এক সময় গ্রামের এক চাষী মাঠে গরু চরাচ্ছিল । দুর্যোগের দিন ছিল সেটি । ঝড়-বৃষ্টির সাথে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর বজ্রপাত । ওই চাষী একটি গাছের তলে আশ্রয় নিয়েছিলেন । অদৃশ্য কেউ ওই চাষীকে সেখান থেকে টেনে অন্য জায়গায় নিয়ে যাই পাশে । পরক্ষণেই গাছটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে । চাষী বেঁচে যান । অদৃশ্য ব্যক্তি স্বয়ং যমরাজ ছিলেন যার কৃপায় চাষী বেঁচে যান বলে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস । সেই বিশ্বাসে ভর করেই তারপর ঘটনাস্থলে শুরু হয় যমরাজের পুজো । জয় এখনো হয়ে আসছে ধারাবাহিকভাবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *