ASANSOLKULTI-BARAKAR

আসানসোলের কুলটির কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী অনুষ্কা জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেরা বক্তার শিরোপা পেল

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য। আসানসোল : কুলটির রানিতলার বাসিন্দা অনুষ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দিল্লিতে জাতীয় যুব উৎসব প্রতিযোগিতায় সেরা বক্তার শিরোপা পেল । বর্তমানে মহারাষ্ট্রে পুনেতে তিনি শিক্ষকতা করেন একটি বেসরকারি সংগঠনের হয়ে । তার বাবা পরিমল বন্দোপাধ্যায় রানীতলার পাড়ার মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে একটি চপের দোকান করেন। সঙ্গে কোন টুরিস্ট পার্টি বা কোথাও রাঁধুনি কাজের প্রয়োজনেও যান ।সেটাই তার একমাত্র আয়ের উৎস । দুই কন্যার মধ্যে তার বড় মেয়ে অনুষ্কা কুলটি কলেজ থেকে ইংরেজি অনার্স নিয়ে পাস করার পর  পুরুলিয়া সিধু কানু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে মাসকমিউনিকেশন এবং জার্নালিজম বিষয়ে স্বর্ণপদক লাভ করে।


সেই অনুষ্কা  এবার দিল্লির ভারত মন্ডপে দিন কয়েক আগে জাতীয় যুব উৎসবে সেরা বক্তার শিরোপা পান প্রথম হয়।ঐ প্রতিযোগিতায় তার বক্তৃতার বিষয় ছিল   ২০৪৭ সালে কিভাবে দেখতে চাও ভারতকে। অনুষ্কা বক্তৃতা বা বক্তব্য রাখার সময় বলেন হিন্দু ,মুসলমান, ইসাই, শিখ ,জৈন এরা সকলেই একে অপরের হাত ধরে দেশে একসাথে হাঁটবে। এটাই আমাদের ভারত বর্ষ। তিন মিনিট সময়ের সর্বভারতীয় এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৭৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে এই বক্তৃতায় দেশের সম্প্রীতিকেই সর্বাধিক তিনি গুরুত্ব দিয়ে রীতিমতো সাহস দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে এদেশের নারী সুরক্ষার বিষয়টিও তার বক্তৃতায় উঠে এসেছে। তিনি বলেন ২০০৪৭ এ ধর্ষক মুক্ত দেশ হোক ।জন্ম থেকে জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বিশেষ করে কর্ম ক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত যাতে হতে পারে সেটাই দেখতে হবে ।

তার বাবা পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন অনুষ্কার এই সাফল্যে অবশ্যই আমরা গর্বিত। যথেষ্ট কষ্ট করেই আমাদের পরিবারের ওরা বেড়ে উঠেছে। এর আগেও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অনেক পুরস্কার পেয়েছে। অনুষ্কা নিজেও জানিয়েছে প্রথম হবার জন্য শুধু নয়  তার দৃঢ় বক্তব্য এবং ভাবনা থেকেই সে সরে আসেনি ।


অনুষ্কা জানায় বাবা পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা গৃহবধূ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুজনের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। বর্তমানে পুনেতে একটি বেসরকারি সংস্থার ফেলোশিপ নিয়ে আমি শিক্ষকতা করছি। আমার একান্ত ইচ্ছা একজন দক্ষ রিপোর্টার হয়ে ওঠা। ছোটো থেকেই বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রেও আমার উৎসাহ যথেষ্ট ছিল। আমরা এবার দিল্লিতে যারা বিজয়ী হয়েছি তারা প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ইন্টার একশন করা ছাড়াও একসাথে দুপুরে খাবারও খেয়েছিলাম জি টোয়েন্টিভবনে যেখানে প্রতিযোগিতা হয়েছিল।
তার প্রতিবেশী এবং পরিমল বাবুর বন্ধু বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও বাচিক শিল্পী সুব্রত সিনহা বলেন ওর ওর বাবা  পাড়াতে একটা সাধারণ চপের দোকান করেন । তাই দিয়েই দুই কন্যা সহ সংসার চালান ।ছোটবেলা থেকেই অনুষ্কাকে  আমি দেখেছি ও বিভিন্ন তাৎক্ষণিক বা বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় একেবারে প্রথম হত। পড়াশোনাতেও খুব ভালো ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *