বাসে বন দপ্তরের হানা, উদ্ধার ২০০ পাহাড়ি টিয়া, ধৃত চালক ও খালাসি সহ চার
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পাচারের আগেই বাংলা ঝাড়খণ্ড আন্তঃরাজ্য যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার হলো ২০০ পাহাড়ি টিয়া। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরে দুর্গাপুর ও বর্ধমান জেলা বন দপ্তর এই অভিযান চালিয়ে এই বাজেয়াপ্ত করে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালক ও খালাসি এবং ২ পাচারকারী। ধৃতরা পূর্ব বর্ধমানের দুবরাজদীঘির শেখ ইসলাম ও শেখ অসীম এবং ঝাড়খণ্ডের শিবশংকর চৌধুরী ও অরবিন্দ কুমার পান্ডে।




জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে একটি আন্তঃরাজ্য বাসে করে দুর্গাপুরের কাঁকসার বাঁশকোপা টোল প্লাজা হয়ে টিয়া পাখি পাচার হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় বর্ধমান ও দুর্গাপুর বন দপ্তর। সেই খবর মতো ১৯ নং জাতীয় সড়কের বাঁশকোপা টোলপ্লাজায় হানা দেওয়া হয় বন দপ্তরের তরফে। আটকানো হয় ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে কলকাতা যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাসকে। এরপর সেই বাসের ভেতর ঢুকে তল্লাশি করে বেশ কয়েকটি খাঁচা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২০০ পাহাড়ি টিয়া। আটক করা হয় বাসটিও।
ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে কলকাতা রুটের বাস ছিলো এটি। জানা গেছে, পাখিগুলি খাঁচায় করে বোকারো থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল ও সেগুলো বর্ধমান বাসস্ট্যান্ডে নামানোর কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে নাদন ঘাটে পাচারের কথা ছিল। বুধবার ধৃত চারজনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় দুর্গাপুর বন দপ্তরের তরফে