দিল্লির জয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির
দূর্নীতির জবাব আপ পেয়েছে, ২০২৬ এ বাংলার মানুষেরা দেবেন, আশাবাদী অগ্নিমিত্রা পাল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ২০২৫ এর দিল্লি জয়ে, ২০২৬ এ বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লির জয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির।
দলের রাজধানী দখলের পরে আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল আশাবাদী যে, দূর্নীতির জবাব আপ আদমি পার্টি বা আপের সুপ্রিম তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পেয়েছেন। ২০২৬ সালে এইরকমই জবাব বাংলার মানুষেরা দেবেন।
এদিন দুপুরে দলের দিল্লি জয়ের পরে আসানসোলের বার্নপুরের বারি ময়দানে দলের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বাজনার সঙ্গে গেরুয়া আবীর খেলেন। পাশাপাশি গোটা এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষদেরকে মিষ্টি মুখ করান।




এক সাক্ষাৎকারে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আড়াই দশক পরে বিজেপি দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা খুশি ও আনন্দিত। আমি দিল্লিতে নিজে প্রচারে গেছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম, সেখানকার মানুষেরা বদল চাইছেন। দেশের একাধিক রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। তাতে নতুন সংযোজন দেশের রাজধানী। এর থেকে প্রমাণিত হলো যে, দিল্লিবাসী আপের হাত ছেড়ে পদ্মের উপর ভরসা করলো। সেই সঙ্গে দিল্লির বাসিন্দারা দূর্নীতির জবাব দিলেন আপ ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আবগারি থেকে সিসি ক্যামেরা কোথায় না দূর্নীতি হয়েছে। লাল সোয়েটার ও মাফলারের পেছনে কি আছে, তা দিল্লির মানুষেরা দেখতে পেয়েছেন। তাই তারা নিজেদের প্রতিবাদ ইভিএমের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে আরো বলেন, ২০২৬ সালে বাংলার মানুষেরা এইভাবেই জবাব দেবেন। টালির ঘর ও সাদা শাড়ির পেছনে কত হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে, তা বাংলার মানুষেরা দেখতে পেয়েছেন। বাংলার মানুষদের শিরদাঁড়া সোজা। এর প্রতিবাদ তারা করবেন। এখন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। বাংলার মানুষেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃনমুল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন।