মাধ্যমিক পরীক্ষা সোমবার শুরু, সেন্টারে মোবাইল ব্যবহারে আরো কড়া মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, সবক্ষেত্রেই নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোলঃ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৫। এবারের পরীক্ষাকে নির্বিঘ্নে করতে বাড়তি নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতাও। বিশেষ করে পরীক্ষা কেন্দ্র বা সেন্টারে মোবাইল ফোন ব্যবহারে আরো কড়া হচ্ছে পর্ষদ বলে জানা গেছে।
এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে এবছর সবমিলিয়ে ৩১ হাজার ৩৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। আসানসোল মহকুমায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮,৭৯৮ জন। তারমধ্যে ছাত্র: ৭,৯৭৩ জন ও ছাত্রী ১০,৮২৫ জন। দুর্গাপুর মহকুমায় পরীক্ষার্থী ১২,২৩৬ জন। তারমধ্যে ছাত্র ৫,৫৮৩ জন ও ছাত্রী: ৭,৬৫৩ জন। আসানসোল মহকুমায় পরীক্ষা কেন্দ্র ৫১টি (প্রধান কেন্দ্র ১০ টি ও উপকেন্দ্র ৪১ টি)। একইভাবে
দুর্গাপুর মহকুমায় পরীক্ষা কেন্দ্র ৩৬ টি (প্রধান কেন্দ্র ১২ টি ও উপকেন্দ্র ২৪ টি )।




পশ্চিম বর্ধমান জেলায়
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আসানসোলে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন সুমিত মুখোপাধ্যায় (বালবোধন স্কুল): ৮২৫০৭৭৪৬৪৭, ৯৬৮১৩৮৪১৬৬, সঞ্জয়কুমার নোনিয়া (জেকে নগর হাই স্কুল): ৯৪৭৪৫৩৬৪৭৩, ৭০০১৬৪৩৯৪০, আস্তিক মণ্ডল (কন্যাপুর হাই স্কুল): ৭৭৯৭৭০৩৭১৫ ও হিমাদ্রি ঘোষাল (ধাদকা এনসি লাহিড়ি হাই স্কুল): ৭০০১০৩৭৪৫৯। একইভাবে দুর্গাপুরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন সুজিত সেন (অন্ডাল হাই স্কুল): ৭৭৪৯১৪৫২১৯, কুণাল গড়াই (অন্ডাল হাই স্কুল): ৯৮৩২২৯৬৪১৪ ও জিতেন্দ্র পাণ্ডে (বেনাচিতি ভারতীয় হিন্দি হাই স্কুল): ৯৮৩২১৬২০১৯।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্ততির ব্যবস্থায় জানা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। সোমবার পরীক্ষার জন্য আসানসোল ও দূর্গাপুরের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাড়তি ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। গ্রামীণ এলাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এবং শহর এলাকায় পুরনিগমের জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছ।
পরীক্ষার সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমকে। কোনও ইলেকট্রনিক গেজেট, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না।
পরিদর্শক, শিক্ষক সহ কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল-সহ ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীর এক বছরের জন্য পুরো পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই সুনীতি সাঁপুই জানিয়েছেন, সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোন জায়গায় কোন রকম ফাঁক রাখা হয়নি। পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য প্রতিটি দফতরের সঙ্গে যোগযোগ রাখা হচ্ছে। সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।