আসানসোলের পর এবার সালানপুরের পুকুর ভরাট নিয়ে মহকুমা শাসকের নির্দেশ মেনে বিএলআরও পুকুরের মালিকদের শোকজ
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য,।আসানসোল। সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর থেকে আসানসোল যাওয়ার রাজ্য সড়কের ওপর দেন্দুয়ার কাছে রাস্তার দুপাশের দুটি পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। সেই পুকুর ভরাট নিয়ে খোদ মহকুমা শাসক অভিযোগ পেজ বিএলআরকে তদন্তি নির্দেশ দেন একই সঙ্গে একশন টেকিং রিপোর্ট চান । ওই নির্দেশের পর বিএলআরও সোমবারই পুকুর মালিকদের শোকজ করেছেন বলে সূত্র থেকে জানা গেছে জানা গেছে।




দেন্দুয়া থেকে সালানপুরে যাবার পথে রেলগেটের আগেই দুপাশে দুটি পুকুর আছে। এর মধ্যে ডান দিকের একটি পুকুর প্রায় ৬০ ভাগ ভরাট করে ফেলা হয়েছে এবং বেশ কিছু গাছ ছিল সেই পুকুরের সামনে সেগুলিও কেটে ফেলা হয়েছে। শোনা গেছে এখানেও পুকুর ভরাট করে নির্মাণ হবে। অন্যদিকে ঐ রাস্তারই রেলগেটে পৌঁছানোর আগেই বাঁদিকের আরেকটি পুকুরে বেশ কয়েক ফুট মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়ে গেছে। এই অভিযোগ ওই ব্লকের বিডিও বা ভূমি রাজস্ব দপ্তরে জানিয়ে কোন লাভ হবে না জেনেই ওই এলাকার পরিবেশ সচেতন মানুষেরা মহকুমা শাসক কে বিষয়টি জানান।
মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে রবিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সালানপুর ব্লকের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপরেই মহকুমা শাসক বিএলআরকে নির্দেশ দিয়েছেন ঐ দুই পুকুরের মালিকদের কাছে সোমবারের মধ্যেই শোকজ পাঠিয়ে জানতে কেন তারা পুকুর ভরাট করছিলেন ।পাশাপাশি আগের অবস্থায় যাতে ঐ দুই পুকুর ফিরিয়ে দেয়া যায় সেই উদ্যোগও ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে নিতে বলা হয়েছে। এমনকি তিনি অ্যাকশান টেকিং রিপোর্ট চেয়েছেন বলে মহকুমা শাসক এই সময়কে জানিয়েছেন । এই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সালানপুরের বি এল আরও ওই পুকুরের জমির মালিকদের শোকজ করে আইনগত ব্যবস্থা কেন নেয়া হবে না তার জবাব চেয়েছেন। একইসঙ্গে পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন।
উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জলাভুমি বা পুকুর ভরাট না করার জন্য যে নির্দেশ বারবার প্রকাশ্যে দিচ্ছেন তা মানা হচ্ছেনা আসানসোল মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায়। গত সপ্তাহে আসানসোলের কুমারপুরে একটি পুকুর ভরাট করা নিয়ে জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের কাছে মিছিল এবং বিক্ষোভ করে সেখানকার বাসিন্দারা লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। এমনকি ঐ পুকুরটি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিলেও বি এল আর ও সেই ভূমিকা পালন করেননি বলে বাসিন্দারা প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন। এর আগে আসানসোলের একাধিক জায়গায় জলা জমি ভরাট করে অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে থানাতে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেই কাজ কিন্তু মহকুমা জুড়ে অব্যাহত।