আসানসোলে কল সেন্টারের আড়ালে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ, ধৃত ৬
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Latest News ) আসানসোল শহরে কল সেন্টারের আড়ালে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ পেলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারটের আসানসোল সাইবার থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত আসানসোল শহরের হটন রোডে ঐ কল সেন্টারে হানা দেয় আসানসোল সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে।




বুধবার রাতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল সাইবার থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান এডিসিপি ( ডিডি, ইনচার্জ সাইবার) মীর সইদুল আলি। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এসিপি (সেন্ট্রাল ১ ও সাইবার) বিশ্বজিৎ নস্কর ও সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে এডিসিপি ( ডিডি, ইনচার্জ সাইবার) বলেন, গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় যে আসানসোলের হটন রোড এলাকায় একটি কল সেন্টার চলছে। সেই মতো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের নেতৃত্বে ঐ কল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। সেই সময়, সেই সময় ৬ জন কানে হেডফোন লাগিয়ে আমেরিকা এবং কানাডার লোকেদের সাথে কথা বলছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যে তারা আমেরিকা এবং কানাডার মানুষদেরকে ফোন করে তাদের কম্পিউটারে ভাইরাস ধরা পড়েছে বলে জানাচ্ছে।
এও বলা হচ্ছে সিস্টেম ঠিক না করলে তাদের কম্পিউটার সিস্টেম ক্র্যাশ হয়ে যাবে। এরপর কম্পিউটারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তে জানা যায় যে তারা সল প্লেক্স নামে একটি আমেরিকান কোম্পানি হয়ে কলার হিসেবে কাজ করত। এই কোম্পানির তরফে আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন মানুষদেরকে মেল পাঠানো হতো। সেখানে একটা ফোন নম্বর দিয়ে, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হতো। তারপরই বোকা বানানো হতো এই বলে যে তাদের কম্পিউটারে ভাইরাস আছে। ধৃতদের নাম হলো আতহার আলি আজম, রাজীব গুপ্ত, মহঃ মোক্তার, সৈয়দ রিজভি, মহঃ রিজওয়ান ও মহঃ নেহাল।
ধৃতরা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল দক্ষিণ, হিরাপুর থানার বার্নপুর ও আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের কুরেশি মহল্লা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা প্রতারণা করা ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় তারা নিজেদের আমেরিকান নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিত। তাদের কাছ থেকে কিছু হার্ড ডিস্ক এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে এডিসিপি জানান। এই ৬ জনের সঙ্গে এই চক্রে আর কে কে আছে, তা জানার জন্য ধৃতদেরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে।