ASANSOL

মহাকুম্ভের ব্যবস্থা নিয়ে মোদি ও যোগীকে একযোগে আক্রমণ শত্রুঘ্ন সিনহার

গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ বাংলার গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গ টেনে উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভের তুল্য মূল্য বিচার করে দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। একইসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেতা সাংসদ মহাকুম্ভের ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একযোগে আক্রমণ করেন আসানসোলের সাংসদ।
শুক্রবার রাতে আসানসোলে এক অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনায় মৃত্যু , বহু মানুষের হারিয়ে যাওয়া, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ না করা, অব্যবস্থা ও দিল্লি স্টেশনের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।


ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা টেনে উত্তর প্রদেশের বিজেপির সরকারকে আসানসোলের সাংসদ বলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঙ্গাসাগরে কিভাবে মেলা করেন, তা এখানে এসে শিখে যাওয়া উচিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বা তার প্রশাসনিক আধিকারিকদের । তার সংযোজন, মহাকুম্ভের সঙ্গে আস্থা, ভক্তি ও শ্রদ্ধা জড়িয়ে আছে। তবুও বলতে হচ্ছে, এই মহাকুম্ভ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার একরকম বলছে, আর কেন্দ্র সরকার একরকম বলছে। রিপোর্টেরও কোন মিল নেই। তিনি কিছুটা আক্রমণাত্মক সুরে বলেন, বারবার ১৪৪ বছর পরে এবার মহাকুম্ভ হচ্ছে। তাই বলা হলো ১০০ কোটি মানুষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তা যে আদৌও করা হয়নি, তা এতো ঘটনা ও মৃত্যুগুলো প্রমাণ করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভ নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তিনি তার সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

মহাকুম্ভ নিয়ে শুধু বড় বড় প্রচার করা হয়েছে। যদিও তিনি বলেছেন, আমার স্ত্রী, তার বান্ধবী ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে কুম্ভ মেলায় গিয়ে স্নান করেছেন। সেখানে কিছু ভালো ব্যবস্থা তারা দেখেছেন। কিন্তু, তারপরের আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ২৫/৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেভাবে মানুষকে যেতে হচ্ছে, তার রীতিমতো আতঙ্কের। আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটলো। আসলে এইসব কিছু কেউ ওখানে দেখার নেই। শোনার নেই ও বলার নেই। আর যে মিডিয়া বলবে এইসব কিছু নিয়ে, তাদেরও চুপ করিয়ে রাখা হয়েছে। মোদি ও যোগী যা বলছেন, দেশের মানুষেরা শুনছেন। সত্যিকে মিথ্যে করে বলা হলেও, কারোর কিছু বলার নেই। তিনি প্রশ্ন করেন,  ভাবুন তো অন্য রাজ্য থেকে যারা মহাকুম্ভে গিয়ে মারা গেছেন, তাদের মৃতদেহ গুলো কোনরকম ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের সংবিধানে এটা কি আছে? আজ পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেছে? কিন্তু ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে তা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *