আল্লাহ লেখা হীরের লকেটের জন্য কি ফিরল সামগ্রী ? দুটি ঘটনায় সাফল্য পুলিশের
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : আল্লাহ লেখা সোনায় বাঁধানো হীরের লকেট ফিরিয়ে দিল চুরি যাওয়া সব সামগ্রী, মঙ্গলবার চুরি যাওয়া ফিরে পাওয়া সোনার অলংকার ও নগদ অর্থ ফিরে পেয়ে এমনই দাবি করল ইসিএল কর্মী নুর আলম খান।মঙ্গলবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ রানিগঞ্জ থানা এলাকায় ২ দুটি পৃথক চুরি যাওয়া ও প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে, তদন্তে নেমে চুরির ঘটনার কিনারা করার সাথেই, সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে প্রতারণা করা জামতড়া গ্যাঙের সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উদ্ধার করল নগদ অর্থ।




জানা গেছে একদিকে যেমন রানীগঞ্জের বাঁশড়া এলাকায় হাসপাতাল কলোনিতে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে ঘটানো চুরির ঘটনায় বেশ কিছু মূল্যবান সোনার অলংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতি সেই দুষ্কৃতিকেই সোর্স মারফত খবর নিয়ে রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্তর নেতৃত্বে পিসি পার্টির পুলিশ খোঁজ তল্লাশি করে উদ্ধার করে চুরি যাওয়া সকল সোনার অলংকার আর বেশ কিছু নগদ অর্থ জানা যায় তার মধ্যেই ফিরে বসানো যে সোনার লকেট ছিল তা ওই ইসিএল কর্মী নুর আলম খানের শশুর হজ করতে গিয়ে সৌদি আরব থেকে নিয়ে আসেন।
সেই লকেট সে তার মেয়েকে দিয়েছিলেন, আর সেই চুরি যাওয়া লকেটের সূত্র ধরেই এই চুরির ঘটনা যে সেই নুর আলমের বাড়িতেই ঘটানো হয়েছিল সে সম্পর্কে নিশ্চিত হন পুলিশের তদন্তকারী দল, আর তার সাথেই অন্য সকল অলংকার তারা উদ্ধার করেন, উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সাড়ে চার হাজার টাকা, তবে বাকি টাকা ওই দুষ্কৃতকারী অন্য কারোর কাছে রেখেছে বলেই স্বীকার করে নিজের বক্তব্যে। মঙ্গলবার এই সকল বিষয় লক্ষ্য করে ও শ্বশুর মশায়ের দেওয়া সেই বিশেষ লকেট পেয়ে পুলিশের এই বিশেষ সফলতায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে খনি কর্মী, তিনি দাবি করেন তার বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এরূপভাবে চুরি যাওয়া সামগ্রী সে ফিরে পাবে। আর সে সকলের সাথেই সেই স্মৃতিতে মোরা আল্লাহ লেখা লকেট ফিরে পেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান তিনি।
সেখানেই জামতড়া গেংয়ের প্রতারক মিহিজাম থানার, জামতড়ার, গড়াইয়ার বাসিন্দা সাগর দাস যে পূর্বেই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিহিজাম থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, এক ব্যক্তিকে ফোন করে প্রতারণার অভিযোগে,সেই ফোন নাম্বারের থেকেই, এর আগে ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই রানীগঞ্জের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ইসিএল কর্মী সুধীর কুমারের কাছে অ্যাক্সিস ব্যাংকের পার্সোনাল লোন মেটানো হয়নি এই দাবি করে কেওয়াইসি রিফ্রেস করার নামে তার ওটিপি জেনে নিয়ে দেড় লক্ষ টাকা তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলে নিয়ে প্রতারণা করে, সেই খবর সে সময় ওই প্রতারণায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি রাণীগঞ্জ থানায় জানালে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ সেই বিশেষ ফোন নাম্বার খুঁজে বের করে, সেই নাম্বারের ফোন জামতাড়া থানার পুলিশ প্রতারণার জন্য বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে জানতে পেরে, সেই অভিযুক্তর খোঁজ তল্লাশি করে, সেই অভিযুক্তকে গত শনিবার রানীগঞ্জের নিচু পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে বলেই জানতে পেরে, সেখানে অতর্কিত অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে সাগর দাস নামের ওই ব্যক্তিকে।
গত রবিবার পুলিশ ধৃত ওই ব্যক্তিকে আসানসোল জেলা আদালতে হাজির করলে বিচারক আগামীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো অন্য সকল তথ্য সংগ্রহের জন্য, পুলিশের আবেদন অনুসারে তাকে ১০ দিনের পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। জানা গেছে আগামীতে আরও অন্য সকল তথ্য অনুসন্ধান করে বাকি টাকার খোঁজ করতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। উভয় ক্ষেত্রেই এরূপভাবে তদন্তের নেমে পুলিশ বিশেষভাবে এই উদ্ধার হওয়া সামগ্রী ও নগদ অর্থ ফিরিয়ে দেওয়াই সম্ভবত খুশি দুই খনি কর্মী।