পানাগড় কান্ড : তিনদিন পরেও অধরা বাবলু যাদব, বাড়িতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দারা, আদালতে গোপন জবানবন্দি দুজনের
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রবিবার রাত বারোটার পরের ঘটনা। তারপর কেটে গেছে প্রায় তিনটে দিন। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাগড়ে তরুণী মৃত্যু কান্ডে গ্রেফতার শুন্য। একজনকেও আটক পর্যন্ত করে এই ঘটনার রহস্য ভেদে ন্যুনতম কোন সূত্র বার করতে ব্যর্থ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাঁকসা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসাবে যাকে এখনো পর্যন্ত চিহ্নিত বা সনাক্ত করা গেছে, পানাগড়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বাবলু যাদব এখনো বেপাত্তা। এই বাবলুর সাদা এসইউভি গাড়ি পানাগড়ের জিটি রোডে চন্দননগরের তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ধাওয়া করেছিলো। পরে সুতন্দ্রার গাড়ি রাস্তা উল্টে গেলে, তার মৃত্যু হয়।




এই কান্ডের মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদবের বাড়িতে বুধবার সকালে আসে পুলিশের একটি দল। সেই দলে কাঁকসা থানার তদন্তকারী অফিসারদের পাশাপাশি আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখা বা ডিডির অফিসাররাও ছিলেন। জানা গেছে, অফিসাররা আরো একদফায় বাবলুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অন্যদিকে, মৃত্যু যুবতীর এক সহকর্মী বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ ও তার দাদাকে পুলিশ কাঁকসা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপর এদিন দুপুরে এই দুজনকে কাঁকসা থানা থেকে পুলিশ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যায়। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দেয় দুজনকে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আরো একজন মৃত তরুণীর পরিচিত সহকর্মীকে এদিন কাঁকসা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিলো। এই তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছো ঘটনার তদন্ত পুলিশ। এদিন অন্যান্য আধিকারিকদের পাশাপাশি কাঁকসা থানায় আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সওয়াল। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
তবে, বাবলু যাদবকে এখনো পর্যন্ত পুলিশ ধরতে না পারায়, অনেক প্রশ্ন উঠছে।