পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান চালকের মৃত্যু ! অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে দেহের ময়নাতদন্ত, সিপির কাছে অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর সালানপুর ও দুর্গাপুর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* পরিচয় পাওয়ার পরেও পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ি চালক যুবকের দেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠলো। মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরেও ময়নাতদন্ত হলো অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ হিসেবে। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর ফাঁড়ির সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা। মৃত যুবকের নাম সোমনাথ প্রামানিক (২৭)। তার বাড়ি আসানসোলের সালানপুর থানার নেতাজি কলোনি এলাকায়। সে মাছের গাড়ির চালক ছিল। গোটা বিষয়টি জানিয়ে এদিনই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার বা সিপির কাছে মেল করে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।




এদিন মৃত যুবকের মা অভিযোগ করে বলেন , বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে সোমনাথ খালি গাড়ি নিয়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো মাছ আনতে। পরের দিন সকাল থেকে ফোন করার পরেও সোমনাথ ফোন ধরেনি। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় সোমনাথের গাড়ি ১৯ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা পড়েছে। সে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলেও জানানো হয় পুলিশের তরফে। তিনি আরো বলেন, সেই খবর পেয়ে আমরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যাই।
,হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে। তার মৃতদেহর ময়নাতদন্তও হয়ে গেছে। আমরা জানতে পারি পুলিশের গাড়ির সাথে সোমনাথের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা হয়েছিলো। পরিচয় পাওয়ার পরেও কেন সোমনাথের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত এইভাবে কেন করা হলো? আমরা এর বিচার চাই।
পুলিশের তরফে অবশ্য মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি।