West Bengal

পশ্চিমবাংলায় প্রদেশীয় ভব্য নিরঙ্কারী সন্ত সমাগমের আয়োজন

শ্রদ্ধা এবং ভক্তির সঙ্গমে উপচে পড়ল ভক্তদের প্লাবন

বেঙ্গল মিরর,   কলকাতা, ৮ মার্চ, ২০২৫ –  আজ পশ্চিম বাংলার বার্ষিক প্রান্তীয় নিরঙ্কারী সন্ত সমাগম সৎগুরু মাতা সুদীক্ষা জী মহারাজ এবং পরম পূজনীয় নিরঙ্কারী রাজপিতা রমিত জীর পবিত্র সান্নিধ্যে মৌজা – তারদহ, কপাসাটি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতাতে শ্রদ্ধা ও ভক্তির অপার উৎসাহের সাথে প্রারম্ভ হল।
এই দুই দিবসীয় আধ্যত্মিক আয়োজনে কলকাতার সাথে বর্ধমান, আসানসোল, ধানবাদ, শিলিগুড়ি, আসাম, বোকারো, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যা থেকে হাজার হাজার শ্রদ্ধাশীল ভক্তজনরা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং ভক্তির আনন্দ প্রাপ্ত করেন।



সমাগমের শুভারম্ভ এক ভব্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে হয়, যেখানে হাজার হাজার নিরঙ্কারী শ্রদ্ধাবান ভক্তরা পরম বন্দনীয় সৎগুরু মাতা সুদীক্ষা জী মহারাজ তথা পূজনীয় নিরঙ্কারী রাজপিতা রমিত জীকে হৃদয় হতে স্বাগত জানান। এই শোভাযাত্রায় পূজনীয় শ্রী মোহন ছাবড়া জী, মেম্বার ইনচার্জ প্রসার প্রচার, সন্ত নিরঙ্কারী মন্ডলের সচিব শ্রদ্ধেয় শ্রী জোগিন্দর সুখিয়া জী, সমাগম কমিটির সদস্য শ্রী মোহন সাউ জী, শ্রী নিমাই চন্দ্র সাউ জী তথা অন্যান্য অধিকারীগণ এবং ভক্তরা সৎগুরুর পবিত্র সান্নিধ্যে আশীর্বাদ প্রাপ্ত করেন।
সৎগুরু মাতা জী এবং নিরঙ্কারী রাজপিতা রমিত জীর ফুল দ্বারা সুসজ্জিত ভব্য বাহনে আগমন হয়, যার সামনে শ্রদ্ধালু ভক্তরা ভক্তি গীত এবং নৃত্য দ্বারা নিজেদের অটুট আস্থা এবং প্রেম প্রকাশিত করছিলেন। এই শোভাযাত্রায় বাংলা, সাঁওতালী, হিন্দী এবং নেপালী গানের সাথে নৃত্যের অভিনব পরিবেশনও দেখতে পাওয়া গেল, যা ভারতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিকে প্রদর্শিত করে।


কলকাতা এবং শেওড়াফুলির ভক্তরা আধ্যাত্মিকতার সাথে সাথে বৃক্ষরোপণ এবং ‘প্রজেক্ট অমৃত’ এর সঙ্গে যুক্ত সমাজকল্যাণ মূলক কার্যক্রমেরও সুন্দর পরিবেশনা করেন। এই আয়োজনে সমর্পণ, সেবা ও সামাজিক সৌহার্য্যের সন্দেশ প্রদান করা হয়, যাতে আধ্যত্মিক চেতনা এবং ভারতীয় মূল্যবোধ নূতন উচ্চতা প্রাপ্ত হয়।
সমাগম স্থলে শ্রদ্ধাবান ভক্তদের শ্রদ্ধা, ভক্তি এবং প্রেমের অনুপম সঙ্গম দেখতে পাওয়া গেল। দেখা গেল প্রত্যেক ভক্তই নিরঙ্কার প্রভুর অনুভূতির সূত্রে আবদ্ধ, যা বিবিধতার মধ্যে একতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ পরিবেশন করছিল।
নিঃসন্দেহে আস্থা এবং ভক্তির সরোবর এই দিব্য সন্ত সমাগম প্রতিটি ভক্তের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *