কুলটিতে পানীয়জলের সমস্যার সমাধান , পাম্প হাউস এলাকা পরিদর্শনে আধিকারিকরা
বেঙ্গল মিরর, কুলটি, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের কুলটি পুর এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। বলতে গেলে প্রতিদিনই কুলটি কোন না কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানীয়জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে অবরোধ বিক্ষোভ করছেন। এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় মানুষজনেরা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে পানীয়জল সরবরাহের সমস্যা নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। সেই মতো মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম আসানসোলে জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি বৈঠক করেন সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে সোমবার আসানসোল পুরনিগম, জেলা প্রশাসন, রেল ও সেল আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। আরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে এই বৈঠকের পরেই কুলটিতে পানীয়জল সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো এদিন একটি উচ্চ-স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল কুলটিতে মনবেড়িয়া পাম্প হাউস এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই দলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার দত্ত, সেল ও রেলের আধিকারিকরা ছিলেন। তারা দীর্ঘক্ষন গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন।
এই প্রসঙ্গে কুলটি সেল গ্রোথ ওয়ার্কসের সিজিএম বলেন, এদিব এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই এলাকার জল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে, কত দিনের মধ্যে জল সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারেননি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে এলাকা পরিদর্শন করা হলো। এরপর আলোচনায় বসে একটা রিপোর্ট জেলাশাসককে দেওয়া হবে। তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে, তৃনমুল কংগ্রেসের কুলটি ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দুলাল চক্রবর্তী বলেন, আমরা জানি না কিভাবে কুলটি এলাকার পানীয় জল সরবরাহ করা হবে, তবে তাদেরকেই জল সরবরাহ করতে হবে। এদিন জেলা প্রশাসন, সেল ও রেলের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মানবেড়িয়ার পাম্প হাউসটি তারা দেখেছেন। তারা স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি যে জল সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে। তা তিনি জানেন না। সরবরাহ কীভাবে করা হবে? কিন্তু যদি জল সরবরাহ না করা হয়, তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে এদিন দুলাল চক্রবর্তী হুমকি দেন।