DURGAPUR

ভোট হয়নি, নেই নির্বাচিত পুর বোর্ড, দুর্গাপুর সহ ১৪ টি পুরসভার কেন্দ্রীয় ফান্ড বন্ধ

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও, নির্বাচন হয়নি। নেই নির্বাচিত পুর বোর্ড। আর সেই নির্বাচিত পুর বোর্ড না থাকায় দুগাপুুর সহ রাজ্যের মোট ১৪ টি পুরসভার  ” ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম বা এনসিএপি ” ফান্ড বন্ধ করল কেন্দ্র সরকার। এরফলে বিপাকে পড়লো দুর্গাপুর সহ এই পুরসভাগুলি। এই প্রোগ্রামে কেন্দ্রীয় ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলিকে মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


তবে, শুধু এই প্রোগ্রামের ফান্ড নয়, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ও কেন্দ্রীয় অন্য ফান্ডের টাকাও এই ১৪ টি পুরসভাগুলিকে দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গতঃ, শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এনসিপিএর ফান্ড থেকে একাধিক মেশিন কিনেছে দুর্গাপুর নগর নিগম। এ ছাড়া যে সব জায়গায় বেহাল রাস্তার জন্য ধুলো উড়ে বাতাস দূষিত হচ্ছিল, সেখানে রাস্তা তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামের এই ফান্ডের টাকায় দুর্গাপুরে এখনও বহু জায়গায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সব রাস্তার কাজ কি ভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে চিন্তায় দুর্গাপুর নগর নিগম কর্তৃপক্ষ।


পুরসভা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কলকাতায় এনসিএপির একটি বৈঠকে পুরসভার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠানো হয়েছিলো।  যে সব পুরসভায় নির্বাচন হয়নি, সেখানে এই ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার বলে জানানো হয়।
দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে  বুধবার নগর নিগমে পুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে, পুর এলাকার উন্নয়ন চালিয়ে নিয়ে যেতে এখন কি করনীয় তা নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


পরে পুর প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ব্যাপারে আমরা এখনো লিখিত কোন কিছু হাতে পাইনি। তবে আমরা আলোচনা করে দেখছি কি ব্যবস্থা করা । এই ফান্ডের টাকায় রাস্তার কাজ করার জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দুর্গাপুর নগর নিগম। বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রাস্তা তৈরির কাজ চলছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। যে রাস্তা গুলি শিলান্যাস করা হয়েছে সেগুলিতে কোন সমস্যা হবে না। আমরা পর্যাপ্ত ফান্ড রেখে তবে ওয়ার্ক অর্ডার করেছি। ফলে আপাততঃ নগরবাসীর কোন সমস্যা হবে না। তবে নতুন প্রকল্পে অবশ্যই সমস্যা হবে বলে, পুর প্রশাসক জানিয়ে।


উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমে ২০১৭ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত সেই পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তারপর রাজ্য সরকার এখানে আর ভোট করায়নি। তার পরিবর্তে ৫ সদস্যর পুর প্রশাসক মন্ডলী তৈরি করা হয়। সেই পুর প্রশাসক মন্ডলী এখনো পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বাতাসে ধুলোর পরিমাণ কমাতে জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ” ন্যাশানাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম বা এনসিএপি ” শুরু করেছিলো। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দূষণের হার খতিয়ে দেখে দেশের মধ্যে ১২২ টি শহরকে বাছাই করা হয়। দুর্গাপুর শহর তার মধ্যে ছিলো। ১২২ টি শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *