আসানসোলে শাসক দলের ধিক্কার মিছিল, ২৬ হাজার বাতিলের পেছনে সিপিএম ও বিজেপির যড়যন্ত্রের দাবি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছে। এর ফলে, প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। যা নিয়ে, গোটা রাজ্যে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এর জন্য সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে দোষারোপ করছে।
এর বিরোধীয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড থেকে রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয় পর্যন্ত একটি র্যালি বার করা হয়।




এতে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় ছাড়াও দুই সংগঠনের নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই মিছিল থেকে নেতারা ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং সিপিএমের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেন।
এ প্রসঙ্গে গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কল্যাণের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এখানকার জনগণকে হয়রানির ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো বলেন, এখানকার মানুষ এই দুই দলের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, কাদের কারণে ২৬০০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন এই দুটি দলই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছ। তারাই এই কাজটি করেছে। এছাড়াও, তিনি গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল সহ ওষুধ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একটি জনবিরোধী সরকার। তারা যেভাবে গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল ছাড়াও ওষুধের দাম বৃদ্ধি করছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই সরকার কতটা জনবিরোধী। সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে এটি মাথা ঘামায় না। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এমন একটি দলকে কখনই সহ্য করবে না যারা জনগণের জন্য কিছুই করে না এবং কেবল ধর্মের নামে রাজনীতি করে মানুষকে বিভক্ত করে।
একদিকে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মামলা দায়ের করছেন এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চান। অন্যদিকে অভিজিৎ গাঙ্গুলি হাইকোর্টের বিচারক থাকাকালীন এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যখন ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, তখন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বা অভিজিৎ গাঙ্গুলি কেউই তাদের সাথে নেই। যদি কেউ তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, তিনি হলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।