আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড বৈঠক : পানীয়জল সমস্যা ও পুর কর আদায়ে জোর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় : আসানসোল পুরনিগমের পুর কাউন্সিলরদের এপ্রিল মাসের বোর্ড বৈঠক বুধবার অনুষ্ঠিত হয় পুর ভবনের কনফারেন্স হলে। এই বোর্ড সভায় পৌরহিত্য করেন চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়
ছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও অভিজিৎ ঘটক মেয়র পারিষদ বোরো চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলররা। সবার প্রথমে সম্প্রতি প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পুর এলাকার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।




চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিনের বৈঠকে পানীয়জল সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গরম আসার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় পানীয়জলের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে । জল সরবরাহ সুষ্ঠু রাখার জন্য পুর কতৃপক্ষ ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যেহেতু এই বছর গ্রীষ্ম খুব তাড়াতাড়ি এবং খুব বেশি সময় ধরে এসেছে, তাই জলের উৎস শুকিয়ে গেছে। এর ফলে জল সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি পুরনিগম কতৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পানীয়জল অপচয় রোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই পুরনিগমের সকলের কাছে সুষ্ঠুভাবে পানীয়জল সরবরাহ করতে পারবে। তিনি সকল রাজনৈতিক দল এবং ধর্মীয় সংগঠনকে অনুরোধ করেন যে, তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য লাগানো ব্যানার বা পোস্টারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তাহলে পুর এলাকার যে ব্যানার বা পোস্টার লাগানো হয়েছিল সেখান থেকে সেই ব্যানারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, পুর এলাকা পরিষ্কার করার জন্য পুর কতৃপক্ষ এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও, যারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ব্যানার লাগিয়েছেন তাদের আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সেই ব্যানারগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুর কতৃপক্ষ জরিমানা লাঘু করতে চায় না। কিন্তু যদি সেই ব্যানারগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে নেওয়া না হয়, তাহলে পুর কতৃপক্ষ জরিমানা ধার্য করতে বাধ্য হবে। এদিনের বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক হোক বা আবাসিক, যদি কোনও জমিতে কোনও হাইরাইজ বিল্ডিং বা ভবন নির্মিত হয়, তবে সেই ভবনটি তখনই তৈরি করা যেতে পারে যখন সেই জমিতে কোনও পুর কর বকেয়া থাকে না। তিনি বলেন, যদি সেই জমিতে কোনও পুর কর বকেয়া থাকে, তাহলে প্রথমে সেই কর দিতে হবে। তারপরেই সেখানে একটি ভবন নির্মাণ করা যাবে। অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আশা করা হচ্ছে যে এই সিদ্ধান্ত রাজস্ব আদায় বা পরিশোধে সহায়তা করবে।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, এদিনের বৈঠকে আসানসোল পুরনিগম এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পানীয়জল সরবরাহ কিভাবে সুষ্ঠু রাখা যায় তার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।