ASANSOL

আসানসোলে ” মিডিয়া লিডারশিপ অন সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড কোয়ালিটি ” শীর্ষক সেমিনার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল পুরনিগমের আলোচনা কনফারেন্স হলে ‘এসার’ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ও আসানসোল পুরনিগমের সহযোগিতায় ” মিডিয়া লিডারশিপ অন সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি ” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিলো । এই সেমিনার স্বাগত ভাষন দেন হিসেবে এসারের এয়ার কোয়ালিটির প্রোগ্রাম এ্যাসোসিয়েট পম্পা চক্রবর্তী।এরপরে ধানবাদ আইআইটি ধানবাদের অধ্যাপিকা মধুমিতা প্যাটেল ও অধ্যাপক সুরেশ পান্ডিয়ান, আসানসোল জেলা হাসপাতালের চেষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌতম মণ্ডল, দুর্গাপুরের সিএমইআরআইর অধ্যাপক পার্থ দাস এবং আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বক্তব্যে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

তারা বলেন, বিভিন্ন ধরণের দূষণ রয়েছে। ঘরোয়া দূষণ, রাস্তা দূষণ এবং কারখানা থেকে দূষণ। রাস্তায় যানবাহন চলার সময় ডিজেল পেট্রোলের কারণে নির্গত ধোঁয়া দূষণ ছড়ায়। এর পাশাপাশি উড়ে আসা ধুলোও দূষণের একটি প্রধান উৎস। বক্তারা পরিবেশের ক্ষতি না করে এমন জ্বালানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। রাস্তায় যাতায়াতকারী যানবাহনের ধুলো আটকাতে নতুন প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এর ব্যবহার আরো বেশি করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্যও বক্তরা। তাদের মতামত তুলে ধরেন। যান্ত্রিক ঝাড়ুদারের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার করা হোক, যাতে ধুলোর কারণে দূষণ না ছড়ায়। একই সাথে তারা বেশকিছু জিনিসের রিসাইকেলিং বা পুনর্ব্যবহারের উপরও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়।

পার্থ দাস বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান সিএমইআরআইতে কোনও আবর্জনা ফেলা হয় না। তা আমাদের প্রতিষ্ঠানেই পুনর্ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, এভাবেই বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরি করা সম্ভব। সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ব্যর্থতাই আজ দূষণের কারণে আমরা এত সমস্যায় পড়েছি। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্প শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা সমাজের কাজে নেওয়া হয় না অথবা মাঝখানে প্রকল্পের কি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয় না। সম্প্রতি ১৬০টি স্মোকলেস চুলা বা উনুন সরবরাহ করা হয়েছিলো। যাতে কয়লা উনুর ব্যবহার না করা হয়। কিন্তু সেইসব উনুনের কি হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, মঙ্গলপুরের শিল্পাঞ্চল হোক বা জামুরিয়া বা শহরের মুল এলাকা, সর্বত্রই দূষণ ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনের তা যতটা গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ততটা গুরুত্ব সহকারে তা মোকাবিলা করছে না।

তার দাবি, বালি ও কয়লার মতো জিনিস বড়বড় ট্রাক বা ডাম্পারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো ঢেকে রাখা হয়না। ডাঃ গৌতম মন্ডল বলেন, এই দূষণের সবচেয়ে বেশি খারাপ প্রভাব পড়ছে শিশু ও বয়স্কদের উপর। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় তারা ভুগছেন। তিনি এই বিষয়ে এদিনের সেমিনারে তথ্য তুলে দেন। তার দাবি, খুব ভালো করে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *