BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

বারাবনিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, স্বামীকে আটক, চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা ও রাজা বন্দোপাধ্যায়/সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোলের বারাবনি থানার অন্তর্গত চিনচুঁড়িয়া গ্রামে সোমবার রাতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার নাম পুজা ঘোষ ( ৩৫)। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী জীবন ঘোষকে বারাবনি থানার পুলিশ আটক করেছে। পুজা ঘোষকে বাপের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, ২০১২ সালে বারাবনি থানার চিনচুঁড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জীবন ঘোষের বিয়ে হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার ইকিয়ারকুড়ের বাসিন্দা ভুবন মালের মেয়ে সঙ্গে পূজার বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অশান্তি হতো।


সোমবার সন্ধ্যের তাকে শ্বশুর বাড়িতে একটা ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপরে তার বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়, এই বলে যে পূজা আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে। সেই খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন বারাবনিতে। সেই সময় পূজাকে অচৈতন্য অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। বাপের বাড়ির লোকেরা সেই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন । তারপরে তারা সেই গাড়ি বারাবনি থানায় নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, মৃতার দুটো ছোট শিশু সন্তান আছে।


মৃতার বাবা ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, পূজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতো। সোমবার রাতে একই ঘটনা ঘটে। তারপরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বলে যে, পূজা আত্মহত্যা করেছে।
পূজার নাবালিকা মেয়ে বলে, সোমবার রাতে তার মেয়েকে বাবা, কাকা ও কাকিমা মারধর করেছে। তারপর মা মরে গেছে।
পুলিশ পূজার স্বামী জীবন ঘোষকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গৃহবধূর মৃতদেহ এদিন সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *