পুকুর থেকে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য, খুনের অভিযোগ, আটক এক
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* নিখোঁজ এক যুবকের মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো আসানসোলের বারাবনি থানার লালগঞ্জের বালিয়াপুরে। মৃত যুবকের নাম ভজন চক্রবর্তী (৪০)। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই মৃত যুবকের পরিবারের তরফে বালিয়াপুর গ্রামেরই বাসিন্দা ঐ যুবকের বিরুদ্ধে বারাবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, আটক ঐ যুবকের সঙ্গে মৃত যুবকের স্ত্রীর পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিলো। সেই ভজন চক্রবর্তীকে খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।



জানা গেছে, বারাবনির লালগঞ্জের বালিয়াপুরের বাসিন্দা ভজন চক্রবর্তীর পেশায় পুরোহিত ছিলেন। তিনি বাড়ি বাড়ি পুজো করতেন। গত ৬ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকেরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। তিনি মঙ্গলবার রাতে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি। বুধবার সকালে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা বারাবনি থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু তারপরেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
বুধবার বিকেলের পরে বালিয়াপুরে অদূরে জঙ্গলের ভেতরে পুকুরের জলে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পান এলাকার বাসিন্দারা। তারা ও নিখোঁজ ভজন চক্রবর্তীর বাড়ির লোকেরা সেখানে পৌঁছান। তারা গিয়ে দেখেন পুকুরের জলে পাড়ের দিকে আধ ডোবা অবস্থায় ভজন চক্রবর্তী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ভজন চক্রবর্তী যেভাবে পুকুরের জলে পাড়ের দিকে পড়েছিলো, তা দেখে যে কেউ বলবে, তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রাতেই গ্রামেরই এক যুবককে পুলিশ পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে। এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তার প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, পুকুরের জলে ডুবেই ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্য এদিন দুপুরের পরে যুবকের মৃতদেহ বারাবনি থানায় নিয়ে যান।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের তরফে ভজন চক্রবর্তীকে খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক যুবকের সঙ্গে মৃত যুবকের পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিলো। সেই কারণে এই ঘটনা। ঐ যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে । মৃত যুবক নেশা করতো। ঠিক কি হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।