তৃণমূলের কার্যালয়ে রাতারাতি তৈরি মুদি দোকান, দলের কর্মীরা ক্ষুব্ধ
বেঙ্গল মিরর, রানিগঞ্জ, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের কার্যালয়ে মুদি দোকান ! আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিশুবাগান এলাকার পিএম মালিয়া রোডে শিয়ারসোল রাজ হাইস্কুলের কাছে তৃনমুল কংগ্রেসের কার্যালয়ে এই মুদি দোকান চলছে। দলের কার্যালয়ে মুদি দোকান খোলার জন্য স্থানীয় তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন এলাকারই অন্য কর্মীরাই।




এই প্রসঙ্গে শাসক দলের কর্মী অভিমন্যু ভগৎ বলেন, এই এলাকায় একটি দলের একটা কার্যালয় ছিল। দলের কর্মী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ব্যক্তিকে মুদির দোকান চালানোর জন্য তা দিয়েছেন বলে দোকানদারই বলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না । তিনি আরো বলেন, দলের অফিস কেবল মাত্র অফিস থাকা উচিত। সেখানে মুদি দোকান চালানোর অনুমতি দেওয়া যায় না।
অভিমন্যুবাবু আরো বলেন, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা যখন সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে যান , তখন তিনি তাদের কথা শোনেননি। উল্টে তিনি তর্ক-বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের আরো এক কর্মী মুন্না কেশরি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়কে এভাবে মুদির দোকান চালানোর জন্য দেওয়া একেবারেই ঠিক হয়নি। আমরা চাই যে অফিসটি যেমন ছিল তেমনই থাকুক। সেখানে যে মুদি ও কসমেটিক্সের দোকান করা হয়েছে, তা অন্য কোথাও সরিয়ে দেওয়া হোক।
তারা দুজনেই বলেন, যে দোকানদার সেখানে মুদির দোকান শুরু করেছে, তিনি ও তাকে যে দিয়ে, তারা বিকল্প ব্যবস্থা করুক। যেখানে তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি। তারা বলেন, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েছি । দেখি তিনি কি করেন। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, শাসক দলের কার্যালয়ে মুদির দোকান চালাচ্ছেন ব্যবসায়ী অজয় তেওয়ারি। তিনি বলেন, আমার অন্য জায়গায় এই দোকান ছিল। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা হয়। সেই কারণে আমি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আমাকে এখানে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন এই দু/তিন দিন হল। আমাকে দু/তিন মাসের জন্য এই দোকান ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের কল্যাণের জন্য সামাজিক কাজ করে বলে প্রচার চালানো হয়। যদি এভাবে দেখা যায়, তাহলে সুভাষ বন্দোপাধ্যায় একজন সমস্যায় পড়া ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে তো ভালো কাজ করেছেন।এদিকে, এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য সুভাষ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। তবে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।