তৃণমূল শ্রমিক নেতার বাড়ি ঘেরাও তৃণমূল কর্মীদের একাংশের, চোর – চোর স্লোগান, কারখানার গেট সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি প্রশাসনের

বেঙ্গল মিরর চরণ মুখার্জী, দুর্গাপুর : ( Durgapur News ) চাকরীর দাবিতে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা শিল্পতালুকের বেসরকারি এক কারখানার গেটে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ধারাবাহিক আন্দোলন। কারখানার গেট সংলগ্ন এলাকায় জারি হলো ১৪৪ ধারা।অন্যদিকে কারখানায় কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে কারখানার তৃণমূল শ্রমিক নেতার বাড়িতে তুমুল বিক্ষোভ দেখালো , উঠলো তৃণমূল শ্রমিক নেতার নামে চোর চোর স্লোগান।ছবিটা দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকায়। আর তৃণমূল শ্রমিক নেতার নাম শেখ রমজান। সমস্যার শুরু দিন দশ আগে। স্থানীয়রা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরী পাচ্ছে না, অথচ সগড়ভাঙা শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি কারখানায় দিব্বি বহিরাগতরা কাজ করছে টাকা দিয়ে । প্রতিবাদে সগড়ভাঙার স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ দলের ঝান্ডা হাতে নিয়ে ঐ বেসরকারি কারখানার সামনে আন্দোলনে বসেছিল, আটকে দিচ্ছিলো বহিরাগত শ্রমিকদের। কারখানার গেটের সামনে দলের ঝান্ডা লাগিয়ে টেন্ট করে রীতিমতো রাত পাহারা দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ এই বহিরাগত শ্রমিকদের আটকাচ্ছিল।

এদের দাবি ছিল আগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটা না করে বহিরাগতদের টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কারখানার ভেতর। সদ্য এই বেসরকারি কারখানায় তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন কমিটি তৈরী হয়েছে,যার সভাপতি রাজ্য তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শেখ রমজান এই কারখানার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি।স্থানীয় দের বঞ্চিত করে কেন টাকা দিয়ে বহিরাগতদের নিয়োগ করা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ দিন দশ ধরে সগড়ভাঙা শিল্পতালুকের বেসরকারী এই কারখানার গেটে টেন্ট করে বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন, বের করে দিচ্ছিলেন বহিরাগত শ্রমিকদের।মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ কোকওভেন থানার পুলিশ এই কারখানার গেটের সামনে ১৪৪ ধারার নোটিস টাঙিয়ে দেয়, বলে দেওয়া হয় বুধবার সকাল থেকে কারখানার গেটের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনো জমায়েত হলে পুলিশ আইনমাফিক ব্যবস্থা নেবে।

এই নোটিস টাঙানোর পরই কারখানার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি শেখ রমজানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী তৃণমূল কর্মীরা, তৃণমূল শ্রমিক নেতার নাম করে ওঠে চোর চোর স্লোগান, বের করা হয় মিছিল,আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের সেই মিছিল সটাং পৌঁছে যায় তৃণমূল শ্রমিক নেতা শেখ রমজানের বাড়ির সামনে,,শুরু হয় তৃণমূল শ্রমিক নেতার বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ, ওঠে চোর চোর স্লোগান। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে কারখানার তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দিচ্ছে, আর স্থানীয়রা রয়ে যাচ্ছে বঞ্চিতদের তালিকায়, অথচ এই তৃণমূল শ্রমিক নেতা তাদেরকে চাকরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো আর আজ সব জেনে বুঝেও নীরব দর্শক সে। তাহলে এতদিন কি দল করাটাই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল? প্রশ্ন আন্দোলনরত তৃণমূল কর্মীদের, সুবিচার চাইতে তারা পায়ে হেঁটে নবান্ন যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।তার সাথে ষড়যন্ত্র চলছে, তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল শ্রমিক নেতা শেখ রমজানের, তবে ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ তিনি।

দিন দুয়েক আগে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা শিল্পতালুকের এই বেসরকারি কারখানাতে চাকরী দেওয়ার নামে এক দৃষ্টিহীন মহিলার কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কারখানার সদ্য গঠিত তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি শেখ রমজানের ভাই শেখ গেন্ডার বিরুদ্ধে, অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল শ্রমিক নেতার ভাই, এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের তৃণমূল শ্রমিক নেতার বাড়ির সামনে কারখানায় কর্মী নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে দলের স্থানীয় কর্মীদের ঝান্ডা হাতে নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ, এতে বিড়ম্বনা আর অস্বস্তি দুই বাড়বে ঘাস ফুল শিবিরে এমনটাই দাবি বিরোধীদের।