তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি পদে আবারও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান হরেরাম সিং
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি পদে কোন পরিবর্তন করলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও জেলা সভাপতি পদে থাকলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার জেলা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ২০২৩ সালে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসেছিলেন। তার হাত ধরে এই জেলায় রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আসানসোল ও বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ও কীর্তি আজাদ জয়ী হন।




পাশাপাশি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী হাত ধরে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভালো ফল করে দল। একইসঙ্গে, তার গত দু’বছরের সভাপতি থাকাকালীন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল ও দর্গাপুরে দলের সংগঠন বলতে গেলে অনেকটাই মজবুত হয়েছে। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিও এই জেলায় ভালোভাবে পালিত হয়েছে। জেলায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও অনেকটা সামাল দেওয়া গেছে। বলতে গেলে সবাই একজোট হয়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন।
সবদিক দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন যে, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর উপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ভরসা করবেন। তার হাত দিয়েই ২০২৬ র বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করবে ঘাসফুল নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমতই সিলমোহর পেলো।দ্বিতীয়বার জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। তারজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। দলের দায়িত্ব আমি সবসময় পালন করি ও আগামী দিনে তা করবো।
শুক্রবার বাংলার বিভিন্ন জেলার দলের সভাপতি ও চেয়ারপার্সেনদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নতুন চেয়ারপার্সেন হয়েছেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে জামুড়িয়ার বিধায়ককে সেই পদে বসানো হয়েছে। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যের অন্যতম সহসভাপতি বা ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে।