আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ” সম্মান সমারোহ” র আয়োজন, প্রফেসর ও পড়ুয়াদের পুরস্কার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (এইসি) মঙ্গলবার ” সম্মান সমারোহ ” র আয়োজন করা হয়। এদিন দুটি পর্যায়ে এই সম্মান সমারোহে ” জেআইএস ইনোভেশন ও জেআইএস পুরস্কার ” ২০২৫ দেওয়ার একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। এদিন সকালে কলেজের বিবেকানন্দ সেমিনার হলে প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশিষ্ট অতিথিরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে অধ্যাপক প্রফেসর ও পড়ুয়াদের মধ্যে গবেষণা ও সামগ্রিক পড়াশোনাকে উৎসাহিত করার জন্য ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়।




অনুষ্ঠানে প্রায় ১২০ জন ছাত্র পড়ুয়াকে তাদের মাপকাঠিতে শীর্ষস্থান অর্জন এবং গবেষণা প্রকাশনার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া, প্রায় ১১০ জন প্রফেসরকে বই রচনা, জার্নালে প্রকাশনা, নিবন্ধ, পেটেন্ট, ছাত্রদের সঙ্গে প্রকাশনা, প্রকল্প অনুদান প্রাপ্তি এবং গবেষণা নির্দেশনার জন্য সম্মানিত করা হয়।
এছাড়াও, ৬১ জন পড়ুয়াকে আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য এবং ৬৮ জন ছাত্রকে আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও সাফল্যের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সিএমইআরআইয়ের সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড. হিমাদ্রি রায় এবং ড. নীল রুদ্র মণ্ডলের মতো প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. এন.এন. পাঠক এবং ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. জি.এস. পান্ডা। এদিনের অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারীদের মধ্যে ছিলেন দেবাশীষ সরকার, সৃজন পাল, সম্বিত মণ্ডল, হিরক গুপ্ত, অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
এই প্রসঙ্গে, কলেজের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, এই ধরনের সম্মান সমারোহ কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতায় হয়। গত দুবছর ধরে আসানসোলের কলেজে করা হচ্ছে। এই আয়োজন কেবল মাত্র শিক্ষা এবং গবেষণার শ্রেষ্ঠত্বকে উৎসাহিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। বরং বলা যেতে পারে এই সম্মান সমারোহ ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতাকেও উৎসাহিত করে। তারা আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে একটা আলাদা মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে।