পাখির চোখ ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন, বারাবনিতে বিরোধীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে : নরেন্দ্রনাথ
সালানপুরে শাসক দলের দুই ব্লকের কর্মী সম্মেলনে জেলা সভাপতি – চেয়ারম্যান
বেঙ্গল মিরর, সালানপুর, কাজল মিত্র /রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সব ব্লকে ধারাবাহিকভাবে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে আসানসোলের সালানপুরের শ্রমিক ভবনে বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের সালানপুর এবং চিত্তরঞ্জন ব্লক নিয়ে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই কর্মী সম্মেলনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা চেয়ারম্যান তথা জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, বারাবনির বিধায়ক আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, দুই ব্লক সভাপতি মহঃ আরমান ও তাপস বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাসপতি মণ্ডল,সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র সহ আরো অনেকে।




এদিনের কর্মী সম্মেলনে স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায় ও পাপ্পু উপাধ্যায়ের ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করা হয় । প্রদীপ উজ্জ্বলন করে কর্মীসভার সূচনা করেন জেলা চেয়ারম্যান সহ অন্যরা। এলাকার সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন কর্মী সম্মেলন।
আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সভাপতি দুই ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সব স্তরের নেতা ও কর্মীদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেন। ব্লকের সুপারভাইজার বা যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে এখন থেকে প্রতিদিন অফিসে বসে নির্বাচনের কাজ করার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি। তিনি চিত্তরঞ্জনে দলের যুব সংগঠন নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করে যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিকে সবার সঙ্গে বসে ও কথা বলার পরামর্শ দেন।
সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচন আসার আগেই কর্মীদের নিয়ে ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজ নিজ ব্লকে ব্লক সভাপতিরা।বিগত নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে যেসব পঞ্চায়েতের বুথ গুলি খারাপ রেজাল্ট করেছে সেই সব বুথের কর্মীদের বিশেষ করে মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়ানোর কথা বলেন বিধান উপাধ্যায়। এছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প ও কর্মকাণ্ড নিয়ে এদিন সকল কর্মীদের অবগত করা হয়।এই প্রকল্পগুলির সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য ও সাফল্যের কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কর্মীদের। তিনি সরাসরি অঞ্চল সভাপতি, প্রধান ও উপপ্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, সব কর্মীকে নিজের কাজ করে যেতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে ব্লকে পাঁচটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের হার হয়েছে।
সেই সব অঞ্চলের সভাপতি, প্রধান, উপপ্রধানদের ভালো করে কাজ করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জন সংযোগ বাড়াতে হবে। যে কোন উপায়ে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। নিজের এলাকার রেজাল্ট যদি খারাপ হয়, তাহলে যাদের দায়িত্ব রয়েছে, তাদেরকে পদ থেকে বসে যেতে হবে বলেও বার্তা তিনি দেন।
এই বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বারাবনিতে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন ইতিমধ্যেই অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। তাই এখানে বেশি কিছু বলার দরকার নেই। তবে আমি দলের জেলা সভাপতি হিসেবে এখানকার কর্মীদের একটি কাজ দিয়েছি। তা হলো ২৬ র বিধানসভা নির্বাচনে এই বারাবনিতে বিজেপি সহ বিরোধীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারজন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।
এদিন আরো দুটি ব্লকে তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন হয়।